Gautam Adani: ‘আমাদের বদনাম করার জন্য…’ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুললেন আদানি

আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গ্রুপের ৩২ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বলেছেন যে গত বছর মার্কিন শর্টসেলারের তীব্র প্রতিবেদনটি একটি “অস্পষ্ট সমালোচনা” ছিল। 

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে যা বললেন গৌতম আদানি

তিনি বলেন, ‘আমাদের বদনাম করার জন্য এটা করা হয়েছে। এটি ছিল দ্বিপক্ষীয় আক্রমণ, আমাদের আর্থিক অবস্থার অস্পষ্ট সমালোচনা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মার্জিন-লিঙ্কড ফিনান্সিংয়ে ১৭,৫০০ কোটি টাকা প্রি-পেমেন্ট করে যে কোনও অস্থিরতার বিরুদ্ধে আমাদের পোর্টফোলিওকে সুরক্ষিত রেখেছি।

হিন্ডেনবার্গ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং ট্যাক্স হ্যাভেনের অনুপযুক্ত ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল। এর জেরে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে আদানির সংস্থা। গৌতম আদানির বন্দর থেকে বিদ্যুৎ সংস্থায় বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।

গৌতম আদানি তার গোষ্ঠী সম্পর্কে যা বলেছিলেন

তিনি বলেছিলেন, ‘অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্ব, স্বচ্ছ প্রকাশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি রেটিং এজেন্সি, আর্থিক সম্প্রদায় এবং জিকিউজি, টোটাল এনার্জিস, ইউএস ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশনের মতো বিশ্বব্যপী বিনিয়োগকারীদের দ্বারা যাচাই করা হয়েছিল। মাল্টিপ্লায়ার এফেক্ট বিবেচনায় ভারত সরকার ইনফ্রা ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে যথাযথভাবে পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৩ সালে আমাদের রেকর্ড ব্রেকিং অর্জনগুলি জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে আমাদের প্রান্তিককরণকে তুলে ধরে।

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও ইনফ্রা ব্যয়ের বিবরণটি জাতীয় পর্যায়ে সেট করা হয়েছে, তহবিল এবং পদক্ষেপের বড় অংশটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে, ভারতের ২৪টি রাজ্যে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আমরা উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নে রাজ্য সরকারগুলি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

আদানি গ্রুপের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং ব্যালেন্স শিট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আগ্রাসী সময়রেখার লক্ষ্য আগামী ৫ বছরে ৩০ গিগাওয়াট ক্ষমতা বিকাশ করা, বেলজিয়াম এবং সুইজারল্যান্ডকে শক্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ইবিআইটিডিএ-তে আমাদের নেট ঋণ গত বছরের তুলনায় ৩.৩ থেকে ২.২ এ নেমে এসেছে।

এদিকে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের জেরে বিগত দিনে সমস্যায় পড়েছিল আদানি গ্রুপ। মারাত্মক চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা। কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে ঘোরতর চিন্তা শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে ধীরে ধীরে উত্তোরন ঘটে আদানি গোষ্ঠীর। বর্তমানে আদানি গোষ্ঠী ওই হিন্ডেনবার্গ গ্রুপের রিপোর্টকেও কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছে।