Golden temple: স্বর্ণমন্দিরে যোগ ব্যায়াম করে ‘মর্যাদা লঙ্ঘন’ মহিলার, তুমুল বিতর্ক, থানায় SGPC

অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকে এক মহিলার যোগ ব্যায়াম করাকে কেন্দ্র তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। ফ্যাশন ডিজাইনার এবং লাইফ স্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার অর্চনা মাকওয়ানা নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অমৃতসর স্বর্ণ মন্দিরের সরোবরের তীরে যোগব্যায়াম করার ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। তারপরেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। এর তীব্র নিন্দা করেছে মন্দিরের শিরোমনি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (SGPC) মন্দিরকে অপবিত্র করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। এছাড়া, কাজে অবহেলার জন্য মন্দিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিটি। 

আরও পড়ুন: বিয়ে সামনেই! আশীর্বাদ নিতে সকাল সকাল অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে রাঘব-পরিণীতি

কমিটির সভাপতি অরিন্দর সিং ধানি জানান, যে মহিলা যোগব্যায়াম করেছিলেন তিনি প্রার্থনা না করেই মন্দির ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র স্থানটির পবিত্রতা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বকে উপেক্ষা করে জঘন্য কাজ করছেন। মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন করছেন। এমন কাজ করা মোটেও উচিত নয়। 

স্বর্ণ মন্দিরের ম্যানেজার ভগয়ান্ত সিং ধাঙ্গেরা জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মহিলা এর জন্য পাঁচ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, মহিলা যেহেতু স্বর্ণ মন্দিরের মর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন এবং ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন তাই পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অবহেলার দায়ে মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন কর্মীকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাদের প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি এবং ভিডিয়ো মুছে দিয়েছেন মহিলা। একইসঙ্গে তিনি এই কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ’ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আমি আঘাত করতে চাইনি। আমি জানতাম না যে গুরুদ্বার প্রাঙ্গনে যোগ ব্যায়াম করা আপত্তিকর হতে পারে। আমি একটি কাজের জন্য এখানে এসেছিলাম। তাই ভেবেছিলাম মন্দিরে প্রণাম করে আসি। আমি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে আমি এনিয়ে সচেতন থাকবো।’ এর পাশাপাশি মহিলা অন্য একটি পোস্টে অভিযোগ করেছেন, ক্ষমা চাওয়ার পরেও তাকে লাগাতার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।