দুটি প্রাপ্তিযোগ ঘটল বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের, জীবনকৃষ্ণ হয়ে উঠলেন ‘‌জীবন’‌

কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আর কোনও পরিস্থিতির জন্যই হতাশ হয়ে থাকতে নেই। মণীষীদের এই বাণী অক্ষরে অক্ষরে মানতে দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। সদ্য তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খোলা আকাশের নীচে এসেছেন। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর কেটে গিয়েছে একটা বছর। নানা কথা তাঁর বিরুদ্ধে সামনে এসেছে। মোবাইল পুকুরে ফেলার ঘটনা থেকে শুরু করে পাঁচিল টপকানো। হ্যাঁ, তিনি জীবনকৃষ্ণ সাহা। যিনি জামিন পেয়ে প্রথমে গিয়েছিলেন বিধানসভায়।

এখন তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে সমাজের বুকে নানা কাজ করে বেড়াচ্ছেন। এবার তাঁর কপালে জুটল প্রাপ্তি যোগ। তাও আর একটা নয়, একেবারে দুটো প্রাপ্তি হয়েছে তাঁর। তবে এখন তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করছেন। সাদা পাজামা–পাঞ্জাবি পরে মানুষের সামনে এসে দাঁড়াচ্ছেন। বোঝাচ্ছেন তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাই তো তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আর তাঁকে গ্রেফতার করে ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার উপর এখন লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা।

আরও পড়ুন:‌ আবার নতুন করে গড়ে উঠুক ঐতিহাসিক হলং বাংলো, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল পর্যটন সংস্থা

তবে সদ্য সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই জামিন পেয়ে বড়ঞার আন্দির বাড়িতে প্রবেশ করেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর তার জামিনের তিন মাস কাটতে না কাটতেই আবার বিরোধীদের চমকে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। গতকালই তাঁর দুটি প্রাপ্তি যোগ ঘটেছে। এক, রাজ্যের পরিবহণ দফতরে ডিরেক্টর পদে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আর দুই, আজ, মঙ্গলবার তাঁকে দেখা গেল তাঁর পুরনো স্কুলে আবার সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়ে শিক্ষকতার জীবন শুরু করতে।

এই দুটি প্রাপ্তিযোগ হলে মৃদু ভাষায় কথা বলছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা আগের মতোই। আজ নবম শ্রেণির ছাত্র–ছাত্রীদের তিনি সালোকসংশ্লেষ পড়াচ্ছিলেন। এই বিষয়টি জীবনবিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত। আর জীবনকৃষ্ণ সাহা বিজ্ঞানের শিক্ষক। সুতরাং তিনি এটা ভালই বোঝেন। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে রাজ্যে। তখন জীবনকৃষ্ণ সাহা টিকিট পাবেন কিনা সেটা এখনই বলা যাবে না। তবে তিনি আগের থেকে আরও বেশি করে অ্যাক্টিভ হয়েছেন। তাই তো পড়ুয়ারা ডাকছেন—জীবন স্যার বলে। আর পড়শিরা বলছেন, ‘‌জীবন’‌।