নদিয়ায় নিয়োগ দুর্নীতির আরও এক ‘চন্দন’! নাম প্রকাশ্যে আসতেই বেপাত্তা পরিমল

ওয়েবসাইটে চাকুরিপ্রাপকদের তালিকায় নাম তুলে দিয়ে যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করতেন তিনি। এই অভিযোগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা নদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক পরিমল কুন্ডু। গত ২২ জুন চাঁচল থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক যুবক। তার পর থেকেই বাড়িতে তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন – দিঘা উন্নয়ন পর্ষদে কারও গা টিপছে, কারও পা!… অফিসারদের জন্য CID ভিজিল্যান্স, কড়া মমতা

পড়তে থাকুন – ধমক খেলেন মন্ত্রী আর সরানো হল রাজ্য়ের দুই সচিবকে, যাদবপুরের জমি দখলের খবরও দিদির কাছে

কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন চাঁচলের বাসিন্দা ছিলেন পরিমলবাবু। সেখানে প্রচুর যুবককে টাকার বিনিময়ে তিনি চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। গত ২২ জুন চাঁচল থানায় সারোয়ার আলম সিদ্দিকি নামে এক যুবক অভিযোগ দায়ের করেন, ২০১৮ সালের খাদ্য দফতরের সাব ইন্সপেক্টর পদের মেধাতালিকায় তাঁর নাম তুলে দেন পরিমল। যদিও ওই পরীক্ষায় বসেননি সিদ্দিকি। ওয়েবসাইটে তাঁর নাম দেখিয়ে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি। কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগদান করেননি ওই যুবক। এর পর ওই যুবকের কাছে টাকা দাবি করে পরিমলবাবু হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এর পর নদিয়ায় বদলি হয়ে যান পরিমলবাবু।

ভীমপুরের সরবেড়িয়া পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, পরিমলবাবুর বাড়িতে সন্ধ্যার পর থেকেই অচেনা লোকেদের আনাগোনা শুরু হয়। সারাক্ষণ নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন পরিমলবাবু। তাঁর এই কাণ্ড কারখানায় তাঁর স্ত্রী অন্যত্র বসবাস করেন। কিন্তু পুলিশের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওই বাড়িতে অনেক লোকজন আসত। তবে ওনার স্বভাবের জন্য কেউ আগ বাড়িয়ে কিছু বলত না। এখন তো শুনছি ওখানে না কি লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হত। এসব খবর বাইরে আসার পর থেকে পরিমলবাবুকে আর দেখা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রী এটা অন্তত ভালো কাজ করেছেন, ‘নবান্ন- ধমকে’ খুশি বিজেপি নেতাও!

এর আগে নদিয়ার বাগদায় চন্দন মণ্ডল নামে এরকমই এক চাকরি বিক্রির মিডলম্যানের খোঁদ পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস তাঁর সন্ধান দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে দীর্ঘদিন খোঁদ পাওয়া যায়নি চন্দনের।