বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে মামলা, কলকাতা হাইকোর্টে বিজেপির রেখা

লোকসভা নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল বসিরহাট। সন্দেশখালি নিয়ে হাওয়া গরম করেছিল বিজেপি। যদিও পরে সেটা বড় সেটব্যাক হয়। তবে সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছিল রেখা পাত্রকে। তবে এতকিছুর পরও তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুলের কাছে রেখা পাত্র বিপুল ভোটে পরাজিত হন। এবার এতদিন পর ওই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করলেন রেখা পাত্র। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের হয়। আবার ঘাটালের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলা গৃহীত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলাগুলির শুনানি হতে পারে।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি এবং মনোনয়ন পত্রে ত্রুটির অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তাঁর দাবি, হাজি নুরুলের হলফনামায় নো ডিউজ সার্টিফিকেট ছিল না। তাই বসিরহাটের নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানান বিজেপির পরাজিত প্রার্থী। রেখা পাত্রের অভিযোগ, জালিয়াতি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নির্বাচন কমিশনও পক্ষপাতিত্ব করেছে। রেখার আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাসের কথায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অন্যায় ভাবে ভোটে জিতেছেন। আমরা চাই এটার বিচার হোক। সত্য সামনে আসুক। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে।’‌

আরও পড়ুন:‌ প্রাথমিক টেট পরীক্ষা মামলায় ভুল প্রশ্নের সংখ্যা কত?‌ পৃথক কমিটির ভাবনায় কলকাতা হাইকোর্ট

অন্যদিকে গত ১ জুন সপ্তম দফায় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাটের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তোলা হয়। বিজেপির অভিযোগ, আইন মেনে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। তার জেরে বিজেপির আর্জি খারিজ হয়ে যায়। পঞ্চদশ লোকসভার সদস্য হাজি নুরুল মনোনয়ন দাখিল করেন ৭ মে। কিন্তু পঞ্চদশ লোকসভা শেষ হয় ২০১৪ সালের ১৮ মে। সুতরাং তাঁর ১০ বছর পূর্ণ হয়নি বলে অভিযোগ রেখা পাত্রের।

এছাড়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্যের চার লোকসভা কেন্দ্র—বসিরহাট, ডায়মন্ডহারবার, জয়নগর, ঘাটাল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাই এই চার লোকসভা আসনের প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করতে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ধারা ৩৬ রিপ্রেসেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, যদি কোনও প্রার্থী সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হন তাহলে তাঁকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়।