Government Property: ধমকের ফলাফল! সরকারি জমিতে গিয়ে ছবি তুলে নিয়ে আসুন, জেলায় জেলায় গেল নির্দেশ

সোমবার নবান্নের বৈঠকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নেতা মন্ত্রী , আমলা পুলিশ কর্তাকে নিশানা করে একের পর এক ধমক দিয়েছিলেন। এমনকী নাম উল্লেখ করেও তিনি নেতা মন্ত্রীদের ধমক দেন। এদিকে সেই ধমকের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল সরকারি জমি দখলের প্রসঙ্গ। তবে এবার নবান্নের মিটিং মিটতেই নড়েচড়ে বসল সরকার। সরকারি জমি দখলদারি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল। 

এবার ৬ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জেলায় জেলায় সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক সহ প্রশাসনিক কর্তাদেরও বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। 

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে না পারলে এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। এর জেরে সরকারি জমি কোথাও থাকলেই তা দখল করার প্রবণতা তৈরি হবে। তবে আপাতত সেই নির্দেশিকায় একাধিক বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। 

১) সরকারি জমিতে সাইনবোর্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ যে সরকারি জমিটি রয়েছে সেটা যাতে বোঝা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

২) সেই সাইনবোর্ডে লিখতে হবে এই জমির মালিক রাজ্য সরকার।

৩) বিলআরও ও ডিএলআরও অফিসের সামনে যাতে দালালরা ঘোরাফেরা না করে তার ব্যবস্থা করতে হবে। 

৪) কিছুদিন অন্তর সরকারি আধিকারিকরা সরকারি জমিগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন, সেগুলি পরিদর্শন করে দেখবেন সেগুলি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে। 

৫) যখন তারা পরিদর্শন করবেন তখন সংশ্লিষ্ট জমি ও জলাশয়ের ছবি বিভিন্ন দিক থেকে তুলতে হবে। অর্থাৎ জমিটি যথাযথ রয়েছে কি না সেই সম্পর্কিত তথ্য রাখতে হবে। 

৬)জেলাশাসক ও এডিএম ল্যান্ডদের কাছে এই সরকারি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। 

নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্য়মন্ত্রী একাধিক জমির কথা উল্লেখ করেছিলেন যেগুলি দখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকী কলকাতার একাধিক রাস্তা, ফুটপাত সহ বিভিন্ন সরকারি জমি কীভাবে বেহাত হয়ে যাচ্ছে সেকথা উল্লেখ করেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। 

নবান্নের বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন,  যাদবপুর থানার ১০ নম্বর বোরোর ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য়ে ৩৫৫ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ড বেকারি মোড়ে জমি দখলের অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ২৯ কাঠা মূল্যবান জমি তথ্য় ও সংস্কৃতি দফতরের। ২০১৮ সালে তৎকালীন সাংসদ সৌগত রায় জমিটি দখলমুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। এটা তদন্ত হবে। খুঁজে দেখো কে করেছে।