Illegal construction demolition: আদালতের নির্দেশে মাঝেরহাটে পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে পুলিশকে বাধা, তুমুল উত্তেজনা

মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে হেলেন কেলার সরণিতে দখল হয়ে গিয়েছিল কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমি। সেখানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস আরও বেশ কিছু নির্মাণ। কলকাতা হাইকোর্ট অবিলম্বে পার্টি অফিস সহ অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে সোমবার সেই পার্টি অফিস ভাঙতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ল পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুনর্বাসনের দাবি জানান স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি পূর্ত দফতর-পুরসভার, ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের

মাঝেরহাট স্টেশনের কাছে যে জায়গাটি রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ পোর্ট ট্রাস্টের জায়গা। সেখানে একটি পার্টি অফিস ও কিছু অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এদিন যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। আদালতের নির্দেশমতোই পুলিশের আধিকারিকরা সেই পার্টি অফিস ভাঙতে যান। সেখানে যে পার্টি অফিসটি আছে তার পাশে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। সেগুলি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি। সেখানে একটি দোকান ভাঙা হলেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশকে ভাঙতে দিতে বাধা দেয় স্থানীয়। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তখন পুলিশের তরফে মাইকিং করে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের কথা জানানো হয়। তা সত্ত্বেও পিছু হঠেননি স্থানীয়রা। এরপর কলকাতা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনীর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়দের দাবি, তারা ফুটপাত দখল করেননি। তাছাড়া যে ক্লাবটি রয়েছে সেখানে বাচ্চাদের পড়ানো হয়। এই অবস্থায় ক্লাবটি ভাঙা হলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বে। তাছাড়া আগে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের দাবি অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হব তার আগে কোনওভাবেই উচ্ছেদ করা যাবে না।

যদিও পোর্ট ট্রাস্ট্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, জমি দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে কোনও ক্লাব নেই। আসলে হাইকোর্টের ভাঙার নির্দেশেই রাতারাতি সেখানে ক্লাব তৈরি করে এবং জনসেবামূলক কাজের কথা বলে নির্দেশ এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত,আদালতের নির্দেশ ছিল আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এই দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলতে হবে। সেক্ষেত্রে কার্যালয় ভাঙতে গিয়ে কোনও সমস্যা হলে বা বাধার সম্মুখীন হলে অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করতে হবে তারাতলা থানার ওসিকে। বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পর ২৬ জুন রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তাতে জানাতে হবে নির্দেশ কার্যকর হয়েছে কিনা। আগামী ২৬ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।