আবার নাগাড়ে বৃষ্টিতে নামল ব্যাপক ধস, বন্ধ জাতীয় সড়ক, বিচ্ছিন্ন সিকিম–কালিম্পং

আবার প্রবল বৃষ্টি। আর তার জেরে দুর্ভোগ চরমে উঠল উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে আবার নতুন করে ধস নামল দার্জিলিংয়ের লিকোভিড সংলগ্ন এলাকায়। এই ব্যাপক ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সুতরাং শিলিগুড়ি থেকে সিকিম–কালিম্পং যাওয়ার পথ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার জেরে আবার আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। কয়েকদিন আগেই সিকিমে মারাত্মক দুর্দশা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ কাটিয়ে ওঠা যায়নি। তার মধ্যেই আবার টানা বৃষ্টি শুরু। যা দেখে আতঙ্কিত পর্যটকরা।

মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে চলায় ব্যাপক ধস নেমেছে। তার জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ব্যাপক যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারছে না যানবাহন চলাচল। তার জেরে সিকিম কিংবা কালিম্পং এখন ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। এই আবহে বৃষ্টি–ধস প্রত্যক্ষ করার পর আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সিকিমেও। আবার কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাস্তাঘাট–ঘরবাড়ি?‌ উঠছে প্রশ্ন। কারণ কদিন আগেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সবচেয়ে বেশি তাতে ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ সিকিম। বৃষ্টির তীব্রতায় ফুঁসছে তিস্তা নদী।

আরও পড়ুন:‌ মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে শান্তি ফিরতে চলেছে শান্তিপুরে, জলকষ্ট মেটাতে ৭৫ কোটির ডিপিআর

এদিকে উত্তরবঙ্গে এখন বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। জলস্তর বেড়ে গিয়ে রাস্তা ভাঙতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তিস্তাবাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথ। তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আলিপুরাদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। আসলে অতীতের অভিজ্ঞতা ভাল নয় উত্তরের বাসিন্দাদের। সিকিমে আগে হড়পা বান এবং ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার আবার তা হলে মানুষের জীবনে নেমে আসবে সাংঘাতিক ভয়াবহতা। সেটাই ভাবাচ্ছে সকলকে।

অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না। তাতেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সড়কপথে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাতায়াত করার ‘লাইফ লাইন’ হচ্ছে, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর সেখান দিয়েই যাতায়াত করা যাচ্ছে না। কারণ প্রবল দুর্যোগের জেরে এই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি নিয়ে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিকিমের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। তিনি গোটা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন। এমনকী তাঁর আবেদন, এই রাস্তার মেরামত এবং সংস্কারের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিজের হাতে নিয়ে কাজ করুক।