সেমিফাইনালে প্রোটিয়ারাই চাপে থাকবে: আফগান কোচ 

ইতিহাসের জন্ম দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। অথচ কেউ ভাবেনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো ফেভারিটদের পেছনে ফেলে রশিদ খানরা এভাবে শিরোপা মঞ্চের কাছে চলে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই সেমির মঞ্চটা তাদের কাছে নতুন। ঠিক এই কারণে নিজেদের আরও বিপজ্জনক মনে করছেন দলটির কোচ জনাথন ট্রট। তার মতে, সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাই চাপে থাকবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের প্রথম সেমিফাইনালটি মাঠে গড়াবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায়।

আফগানদের সেমিতে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রোটিয়ারা বৈশ্বিক মঞ্চে এই সেমিতে এসেই ব্যর্থ হয়েছে। সবচেয়ে বড় ট্রফি বলতে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বড় মঞ্চে শেষ বেলায় খেই হারায় বলে ‘চোকার্স’ তকমাটাও তাদের সঙ্গে জুড়ে গেছে। বিশেষ করে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হাস্যকর রান আউটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার এবং ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে হিসেবের ভুলের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে তারা। আর এই কারণেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপটা বেশি দেখছেন ট্রট। তার কথা, ‘আমরা সেমিতে আছি কোনও ক্ষত ছাড়া, কোনও ইতিহাস ছাড়া। এই জায়গাটা আমাদের জন্য নতুন। পূর্বের কোনও সাফল্য, ব্যর্থতা আমাদের নেই। ফলে এটা সম্পূর্ণ নতুন চ্যালেঞ্জ। ঠিক এই বিষয়টাই আমাদের বিপজ্জনক করে তুলেছে। যেহেতু আমাদের হারানোর কিছু নেই, নিশ্চিতভাবে প্রতিপক্ষের ওপরই চাপটা বেশি থাকবে।’

ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ী সাবেক ব্যাটার ট্রট দক্ষিণ আফ্রিকাতেই বেড়ে উঠেছেন। দলটির কোচ হয়ে যুক্ত হয়েছেন ২০২২ সালের জুলাই মাসে। তার পর থেকে ৪৩ বছর বয়সী এই কোচ রশিদদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। তিনি আফগানদের নিয়ে বলেছেন, ‘যখন আসি দলটির প্রতিভা দেখে বিস্মিত হই। অবশ্যই তাতে পরিপক্কতার অভাব, কাঠামোর অভাব ছিল। বিশেষ করে ম্যাচ নিয়ে গভীরভাবে ভাবার বিষয়টি। আমি শুধু শূন্যস্থানগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেছি।’