Ananta Maharaj: এবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে অনন্ত, মমতা কিছুদিন আগেই গিয়েছিলেন মহারাজের প্রাসাদে

দিন কয়েক আগেই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অনন্ত মহারাজ। এদিকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভার সাংসদের সেই মিটিংকে ঘিরে একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এমনকী বিজেপি নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছিলেন চিনতে ভুল হয়েছিল। এবার সেই সাংসদই দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। 

তবে মমতার বৈঠকের পরেই শাহের সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সাক্ষাৎকারকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাস্তবে তিনি ঠিক কোন দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায়। অনুগামীদের কাছে তিনি অনন্ত মহারাজ নামেই পরিচিত। পৃথক রাজ্যের দাবিতে তিনি বরাবরই সরব। অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও দেখা যেত তাঁকে। এবার ভোটের আগে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করে বিজেপি। মূলত নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগেও এই কাজ হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কেমন যেন বেসুরো গাইতেন অনন্ত। এমনকী এবার গোটা ভোটপর্বে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তিনি কতটা বিজেপির পক্ষে কাজ করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। 

এমনকী রাজবংশী ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে যে বিজেপি অনন্ত রায়কে কাছে টেনেছিল , সেই অনন্তর ভূমিকা নিয়ে ভোট পরবর্তী পর্যায়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ বিজেপি নেতৃত্বই। সেই অনন্তই এবার দেখা করলেন অমিত শাহের সঙ্গে। 

সম্প্রতি কোচবিহারের বড়গিলাতে গিয়ে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে অনন্ত মহারাজের একপ্রস্থ কথাবার্ত হয়। এমনকী ২১শে জুলাইয়ের মিটিংয়ে অনন্ত মহারাজ থাকতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়়িয়েছিল। এদিকে এই ছবি দেখে কার্যত বিজেপির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। 

এদিকে মমতার সঙ্গে দেখা করার পরে অনন্ত মহারাজ বলেছিলেন, ‘আমার মতি মরে গেছে না কি? আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আমি তৃণমূল বা মমতা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। উনি নিজের ইচ্ছায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়নি আমার সঙ্গে।’

সেই সময় কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেছিলেন, ‘উনি একজন ধর্মীয় নেতা। ওনার সঙ্গে যে কেউ দেখা করতেই পারে। আর বাকিটা রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’

বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আরেকজন জনপ্রতিনিধি দেখা করতেই পারেন।’

তবে এবার প্রশ্ন আলাদা রাজ্যের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতেই কি শাহের দরবারে গেলেন অনন্ত মহারাজ? না হলে তো এবার অনুগামীদের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমতে থাকবে। মত অনেকের।