Deucha Panchami coal mine project: দেউচা-পাঁচামিতে জমিদাতা আরও ২৬৪ জনকে পুলিশের চাকরি দিল সরকার, খুশি প্রার্থীরা

দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি নিয়ে এক সময় কম আন্দোলন হয়নি। গ্রামবাসী এবং জমিদাতারা এ নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিলেন। তবে পরে রাজ্য সরকারের প্যাকেজে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁরা সেই আন্দোলন বন্ধ করেন। সরকার ঘোষণা করেছিল জমিদাতাদের নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং একটি করে চাকরি দেওয়া হবে। সেই আশ্বাস পূরণ করছে রাজ্য সরকার। লোকসভা ভোট মিটতেই দেউচা-পাঁচামিতে জমিদাতা আরও ২৬৪ জনকে পুলিশের জুনিয়র কনস্টেবলের চাকরি দিল সরকার। আজ বুধবার তাদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ‘দু’নম্বরি’ রুখতে দেউচা হচ্ছে ডিজিটাল, বিশেষ অ্যাপ রাজ্যের, দুর্নীতি করলেই কেস!

এদিন সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান থেকেই ২৬৪ জনকে এই চাকরির নিয়োগপত্রগুলি তুলে দেওয়া হয়।এদিনের অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়সী প্রশংসা করেন জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি বলেন ‘দেউচা- পাঁচামি কয়লা খনির জন্য একটি যুগান্তকারী মানবিক প্যাকেজ তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানকার মানুষজন মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় জমি দান করেছিলেন। সেই প্যাকেজ মেনেই এদিন আরও ২৬৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, জমিদাতাদের দফায় দফায় প্রতিশ্রুতি মতো পরিবারের একজনকে চাকরি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন ১২ এবং ১৩ লটে এই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া আরও অনেকের আগেই চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। তবে বয়স কম থাকার কারণে এতদিন তাঁরা ভাতা পাচ্ছিলেন। আজ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত জমিদানের জন্য প্রায় ১৪০০ জনকে চাকরিতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক। তিনি জানান, আগামী দিনে আরও শতাধিক জমিদাতাকে গ্রপ-ডি পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। 

বিধান রায় জানান, তাদের চাকরি দেওয়ার সেই প্রক্রিয়া চলছে। এটা হল ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ধাপে ধাপে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। জমিদাতারা যেভাবে পরপর জমি দিয়েছেন সেই অনুযায়ী পরপর চাকরির জন্য ডাকা হচ্ছে প্রার্থীদের। এরপর তাদের নথিপত্র যাচাই করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়ে তাদের নিয়োগ করা হচ্ছে। চাকরির নিয়োগ পত্র পাওয়ায় খুশি জমিদাতারা।