Encroachers eviction: বাংলায় বুলডোজার! ‘দিদিই কিছু ব্যবস্থা করবেন’, আশায় ব্যবসায়ীরা

সোমবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের পরেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নামে পুলিশ এবং পুরসভা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান। বৃহস্পতিবারও চলেছে সেই অভিযান। সেক্ষেত্রে কোথাও যেমন পুলিশের সঙ্গে বচসা আবার ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার যদুবাবুর বাজারে গিয়ে ফুটপাতে জিনিস রাখা যাবে না বলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছে পুলিশ। রাজপুর সোনারপুর পুরসভা, কামারহাটি পুরসভা, পুরুলিয়া, রামপুরহাট, বোলপুর, শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেও এদিন অভিযান চালায় পুলিশ এবং পুরসভা । 

আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে ঘুরছে বুলডোজার, মুক্ত হচ্ছে ফুটপাত, পুলিশ-হকার ‘সেটিং’ উধাও

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার আলিপুর এবং চিড়িয়াখানার কাছে বেশ কয়েকটি ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকান ভেঙে ফেলা হয়। যদুবাবুর বাজারে অভিযান চালায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম কুমার বসু। বুধবারের থেকে বৃহস্পতিবারের ছবিটা কিছুটা পরিবর্তন হলেও এখনও বেশ কিছু হকার রয়েছে তারা কোনও রকম নির্দেশ না মেনে সেখানে ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাদের আজ কড়া নির্দেশ দেয় পুলিশ। ফুটপাত খালি না করলে কড়া  ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর ও নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার একাধিক জায়গায় এদিন অভিযান চালায়। গড়িয়া বাজার, কবি নজরুল মেট্রো ষ্টেশন এলাকায় জবরদখল সরিয়ে দেওয়া হয়। ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হয়। সোনারপুর বাজার এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়। সেখানও জবরদখল করে থাকা ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে খুশি পথ চলতি মানুষ। তাদের বক্তব্য, এরফলে যাতায়াতের সুবিধা হবে। 

তবে যারা ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছিলেন তারা সমস্যায় পড়েছেন। অনেকেই ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছিলেন। অনেকেই আবার লকডাউনের সময় থেকে ফুটপাতে ব্যবসা  শুরু করেন। তাদের বক্তব্য, এই ব্যবসা থেকেই তারা সংসার চালাচ্ছিলেন। এখন কীভাবে পেটের ভাত জুটবে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। তারা বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

গতকালের পর আজও অ্যাকশন মোডে ছিল সিউড়ি পুরসভা। সিউড়ির হাসপাতাল মোড় চত্বরে ফুটপাথ দখল সরিয়ে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় একাধিক অস্থায়ী দোকান।  রামপুরহাটেও আজ সকালে অভিযান চলেছে। রামপুরহাট মহকুমা শাসক, রামপুরহাট থানার পুলিশ এবং রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান চলে। ভেঙে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি দোকান ঘর। এছাড়া, কামারহাটি পুরসভার ডানলপে এদিন সকালে অভিযানে নামে পুলিশ। ডানলপ থেকে কামারহাটি বিটি রোডের দুধার দখলমুক্ত করা হয়। সেখানে এক দোকানদার বলেন, ‘দিদির নির্দেশে উঠিয়ে দিচ্ছে হয়তো দিদি আবার কিছু ব্যবস্থা করবেন।’

রিষড়া পুরসভা এলাকায় ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকানদারদের সাত দিনের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে ভেঙে ফেলা হবে বলে জানানো হয়েছে। পুরুলিয়া পুরসভায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামবাঁধে পুকুর ভরাটের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পুরসভায় হাসপাতাল মোড় সংলগ্ন সফদর হাসমি চকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এবং অস্থায়ী নির্মাণ এদিন ভেঙে দেওয়া হয়। এছাড়া শেঠ শ্রীলাল মার্কেটেও ফুটপাথ দখল করে থাকা কয়েকটি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।