Kolkata Airport Bomb Scare: ব্যাগে বোমা আছে! লাগেজ চেকের সময় দাবি যাত্রীর, বিরাট আতঙ্ক কলকাতা বিমানবন্দরে

এবার কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়া। এদিকে গোটা ঘটনায় অত্যন্ত সতর্ক সুরক্ষা বাহিনীরও জওয়ান আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে পুনেগামী একটা বিমান ছাড়়ার কথা ছিল। সেই সময় এক যাত্রীর লাগেজ ব্যাগ ঘিরে এই বোমাতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল লাগেজ চেক করার সময় পুনেগামী ওই বিমানের এক যাত্রী দাবি করেন যে তাঁর ব্যাগের মধ্য়েই বোমা রয়েছে। এদিকে এই ঘটনা শোনার পরেই বিমানবন্দরের কর্মীরা সতর্ক হয়ে যান। সুরক্ষা বাহিনীও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। 

বর্তমান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বিমান ও বিমানবন্দরে এনিয়ে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। যাত্রীদেরও দ্রুত নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে ওই যাত্রীকেও আটক করা হয়েছে। তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, লাগেজ চেকিং করার সময়তেই ওই যাত্রী আচমকা দাবি করেন যে তাঁর ব্যাগে বোমা রয়েছে। এরপরই আর কোনও ঝুঁকি নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। বিমানটিকেও খালি করে দেওয়া হয়। এদিকে দুটি বিষয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত ওই ব্যাগে আদৌ বোমা ছিল কি না। আর যদি বোমা না থাকে তাহলে কেন তিনি এই ধরনের কথা বললেন? কেবলমাত্র মজা করার জন্য বিমানবন্দরের মতো সংবেদনশীল এলাকায় এই ধরনের কথা বলা যায় না। তারপরেও কেন তিনি এই কথা বললেন? 

তবে এবারই এই ঘটনা প্রথম তেমনটা নয়। এর আগেও এই ধরনের ভুয়ো দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। 

গত বছর ১২ জানুয়ারি স্পাইস জেটের রিজার্ভেশন অফিসে একটি ফোন আসে। সেখানে বলা হয়েছিল, দিল্লি- পুনেগামী ফ্লাইটে বোমা আছে। এদিকে তখনও ফ্লাইটের বোর্ডিং শুরু হয়নি।এরপরই ফ্লাইটটিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর নিরাপত্তা রক্ষীরা গোটা বিমানে তল্লাশি চালান। তারপরেও কোনও সন্দেহজনক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। তারপরে বোঝা যায় ফোনটি আসলে ভুয়ো ছিল।

পরে স্পাইস জেটের তরফে বলা হয়েছিল,ফোন পাওয়ার পরে আর বিমানটিকে ছাড়া হয়নি। এরপর বিমানটিকে একটি আলাদা জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছিলেন যে তার বন্ধু রাকেশ আর কুণাল মানালিতে রোড ট্রিপে যাচ্ছিল। তাদের দুই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। এদিকে স্পাইস জেটের বিমানে আসার কথা ছিল তাদের। বন্ধুরা তাকে জানিয়েছিল দিল্লি থেকে যাতে দেরিতে বিমানটি ছাড়ে তার ব্য়বস্থা করতে হবে। এরপরই তারা প্ল্যান তৈরি করে যে স্পাইস জেটের কল সেন্টারে ফোন করে বলা হবে যে বিমানে বোমা আছে। সেই মতো ফোন করে তারা। বিমানটি যাতে বাতিল করা হয় সেজন্য তারা এই পরিকল্পনা করেছিল।