SFI: দেশ জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল এসএফআই, নেট-নিট অনিয়ম নিয়ে এবার ক্লাস বয়কট

নিট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। গোটা দেশ জুড়ে কার্যত তোলপাড় পরিস্থিতি। সংসদেও তার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে আন্দোলনে নেমেছে। সেই পরিস্থিতিতে নিট ও নেট দুর্নীতির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ছাত্রসংগঠন এসএফআই। আগামী ৪ জুলাই এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। 

তবে শেষ পর্যন্ত এই ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। এই ছাত্র ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে কতটা সাড়া শেষ পর্যন্ত পড়বে সেটাই দেখার। সেদিন একাধিক কর্মসূচি পালন করবে এসএফআই। ওই ছাত্র ধর্মঘটের দিন পড়ুয়ারা ক্লাস বয়কট করবে। প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন তারা। 

একাধিক দাবির ভিত্তিতে তারা মিছিলে শামিল হবেন। তাদের মূল দাবি হল এনটিএ ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে। যারা সম্প্রতি নিট ও নেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পিএইচডির জন্য নেট পরীক্ষায় নির্দিষ্ট নম্বর পেতেই হবে বলে যেটা বাধ্য়তামূলক করা হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতাদের গ্রেফতারি করা যাবে না। স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। পরীক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রীয়করণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিও তুলেছে এসএফআই। 

এদিকে বাংলার মতো গোটা দেশজুড়েই ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বামেদের শক্তি। এবার লোকসভা ভোটে বামেদের শক্তি ক্রমে আরও ক্ষয়ে গিয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতিতে এবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল বাম ছাত্র সংগঠন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ছাত্র ধর্মঘট কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। 

এদিকে নিট পরীক্ষার নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

তিনি লিখেছেন, ‘পেপার ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে যে অভিযোগ, ঘুষ নেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা দরকার। এই পরিস্থিতির জেরে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী যারা মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তির জন্য স্বপ্ন দেখছিলেন তা ধাক্কা খেয়েছে। ’

‘এর জেরে মেডিক্য়াল শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এমনটা নয়, গোটা দেশ জুড়ে স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রসঙ্গে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি যে ২০১৭ সালের আগে রাজ্য় সরকার তাদের মতো করে পরীক্ষা নিত আর কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের মতো করে পরীক্ষা নিত। সেই সিস্টেমে কোনও সমস্যা ছিল না। এতে আঞ্চলিক সিলেবাস অনুসারে ও শিক্ষার মান অনুসারে কাজ করা হত। একজন চিকিৎসক পড়ুয়ার শিক্ষা ও ইন্টার্নশিপের জন্য রাজ্য় সরকার মোটামুটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে। সেক্ষেত্রে রাজ্যকেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হোক। ’লিখেছেন মমতা।