Doctor’s death: ময়নাতদন্ত না করেই তড়িঘড়ি সৎকার করা হল দেহ, চিকিৎসকের মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক অনির্বাণ দত্তের মৃত্যুকে ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে মৃত্যুর পরেই তাঁর দেহ তড়িঘড়ি করে সৎকার করা হয়েছে কোনওরকম ময়নাতদন্ত না করেই। তাছাড়া, ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। বুধবার ঘটনার পর থেকেই অনির্বাণের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলেই অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী শর্মি চট্টোপাধ্যায়। আর এবার এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানালো চিকিৎসক সংগঠনগুলি। এই দাবিতে তারা নবান্ন এবং স্বাস্থ্য ভবনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন: মেডিক্যালের চিকিৎসকের মৃত্যুতে এবার গ্রেফতার বার মালিকের প্রাক্তন স্ত্রী সহ ৩

জানা যাচ্ছে, অনির্বাণ ও শর্মির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে শর্মির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন অনির্বাণ। গত কয়েক মাস ধরে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে শ্বশুরবাড়িতে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। সেখানে বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বহরমপুরের একটি নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়া হয় অনির্বাণকে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান অনেক আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরেই চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে। স্থানীয় এক হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

অন্যদিকে, শর্মি চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁকে অনির্বাণের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। তিনি অন্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছিলেন। বেলা ১২ টার সময় তিনি এই খবর জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু, ২:৩০ টা নাগাদ সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁর প্রাক্তন স্বামীর দেহ সৎকার হয়ে যায়। তাঁর অভিযোগ, কেন অপেক্ষা করা হল না তাদের জন্য? এত তাড়াহুড়ো করা হল কেন? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এটি যে স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তা নিয়ে স্পষ্ট অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ঘটনায় বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শর্মি চট্টোপাধ্যায়।

অনির্বাণের মৃত্যু নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে অন্য একটি চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে অন্য একটি সংগঠনও চিঠি দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তের দাবি করা হয়েছে।