Waterlogging: কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বর্ষণে জল জমার পরিমাণ জানতে যন্ত্র বসাচ্ছে লালবাজার

বর্ষা এলেই জলমগ্ন হয়ে ওঠে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত। কোথাও হাঁটু জল, আবার কোথাও কোমর অবধি জল জমে। অনেক ক্ষেত্রেই আবার কয়েকদিন ধরে জল জমে থাকতে দেখা যায়। যারফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন শহরবাসী। এতদিন মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমার পরিমাণ কত তা জানার জন্য কলকাতা পুলিশের উপরেই ভরসা রাখতে হত পুরসভাকে। তবে এবার কোথায় কত জল জমেছে? সেই তথ্য সরাসরি জানতে পারবে পুরসভা। এর জন্য বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। যদিও এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে লালবাজারের তরফে। তবে জল জমার পরিমাণ সক্রান্ত তথ্য এই যন্ত্রের মাধ্যমে সরাসরি পুলিশ ছাড়াও জানতে পারবে পুরসভা।

আরও পড়ুন: আর জল জমবে না ব্যান্ডেল সাবওয়েতে, বিরাট পরিকল্পনা রেলের, মনে হবে বিদেশে আছেন!

লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের ১২টি জায়গায় সেন্সর সহ এই বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। মূলত যাতে দ্রুত জমা জল নামানোর ব্যবস্থা করা যায় সেই উদ্দেশ্যেই বসানো হচ্ছে এই যন্ত্র। কারণ কোথায় কত পরিমাণ জল জমেছে তা জানার পর নামানোর জন্য তৎপরতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে পুরসভা। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে। 

ইতিমধ্যেই এই যন্ত্র বসানো হয়েছে শহরের বেশ কিছু জায়গায়। যার মধ্যে রয়েছে মহম্মদ আলি পার্ক এবং রডন স্ট্রিট। এর মধ্যে রডন স্ট্রিটের দুদিকে দুটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জল জমার তথ্য পেয়ে তা নামানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করতে পারবে পুরসভা। তিনি জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এই যন্ত্র কিছু জায়গায় বসানো হচ্ছে। সফল হলে বাকি জায়গাগুলিতেও একইভাবে এই বিশেষ যন্ত্র বসানো হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই যন্ত্রগুলি বসাতে খরচ হচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকা। সৌর শক্তির মাধ্যমে যন্ত্রগুলি চলবে। ফলে আলাদাভাবে কোনও বিদ্যুতের লাইনের প্রয়োজন হবে না।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শহরের বিভিন্ন অংশে কোথায় কত জল জমেছে তা জানার জন্য লালবাজারের উপর নির্ভর করতে হয় পুরসভাকে। তবে সেক্ষেত্রেও একাধিক ধাপ পেরিয়ে তবে সেকথা জানতে পারে পুরসভা। প্রথমে জল জমার তথ্য ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুমে পাঠান পুলিশ কর্মীরা। পরে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে তা পাঠানো হয় লালবাজারে। অবশেষে সেই তথ্য পৌঁছয় পুরসভায়। তবে এই যন্ত্রের সাহায্যে সরাসরি আরও দ্রুত তথ্য জানতে পারেন পুরসভা। এরফলে দ্রুত জল নামাতে পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।