Missing Students traced: স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ৫ ছাত্রী, ৮ ঘণ্টায় উদ্ধার পুলিশের

স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ৫ ছাত্রী। তারপরে আর তারা বাড়ি ফেরেনি। এভাবে ৫ ছাত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শোরগোল পরে গেল হুগলিতে। ঘটনায় অভিযোগ পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে অবশেষে বর্ধমান থেকে ৫ ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করল। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরায়।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় দুই সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নিখোঁজ বোর্ডিং স্কুল থেকে, সিসিটিভিতে কী দেখা গেল?

জানা গিয়েছে, ৫ ছাত্রীই নতুন গ্রামের মগরা প্রভাবতি গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল হুগলির মগরা থেকে ৫ জন ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। গতকাল শনিবার থাকায় দুপুরে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ৫ ছাত্রী বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা বিভিন্ন জায়গায় মেয়েদের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তারা মগরা থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এমন বিষয়টি সামনে আসতে শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়।

এদিকে, এই ঘটনায় মগরা থানার পুলিশ ছাত্রীদের খোঁজে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে দেয়। তাদের খোঁজে তৈরি করা হয় ৫ টি আলাদা দল। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার বেশ কিছু সিসিটিভি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তাদের বেশ কিছু বন্ধু বান্ধবী জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে রাতেই বর্ধমান থানার অন্তর্গত বেলখাস গ্রামের কার্তিক মাঝি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এবিষয়ে মগরা থানাতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও মগরা থানার ওসি সুমন কুণ্ডু। অভিজিৎ সিনহা বলেন, ‘ অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমরা তদন্ত শুরু করি। চারিদিকে খোঁজাখবর নেওয়া শুরু করে দিই। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমরা টিম তৈরি করি। এরপর বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পারি যে তারা বর্ধমানে রয়েছে। সেখানে আমরা টিম পাঠিয়ে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রীদের উদ্ধার করি।’ তিনি জানান, এই ঘটনা যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা বা অন্য কোনও কারণ ছিল। সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।