TMC on New Criminal Laws: কর্ণপাত করেনি সরকার, ন্যায় সংহিতাসহ ৩ নয়া আইনকে ‘নির্মম-অসাংবিধানিক’ আখ্যা তৃণমূলের

লোকসভা, রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পর দণ্ড সংহিতার তিনটি বিল ইতিমধ্যেই আইনে পরিণত হয়েছিল গত বছরই। তবে ভারতের বিচার ব্যবস্থায় তা কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। আর তার আগে, আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই আইনগুলিকে ‘নির্মম এবং অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দেওয়া হল। উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে ভারতের বিচার ব্যবস্থা। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ বা ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ বা ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে কার্যকর হচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। তবে এই আইনগুলিকে তড়িঘড়ি বলবৎ না করে পুনর্বিবেচনা করার দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি চিঠিও লিখেছিলেন। আর এই আইনগুলি কার্যকর হওয়ার একদিন আগে ফের এই ইস্যুতে আক্রমণ শানাল বাংলার শাসকদল। (আরও পড়ুন: রেল, ট্যাক্সে কমবে পকেটে চাপ! জুলাই থেকে কীসের কীসের দাম কমবে?)

আরও পড়ুন: জোমাটোকে ধরানো হল কয়েক কোটির GST নোটিশ, প্রভাব পড়বে শেয়ারের দামে?

রবিবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, এর আগে প্রস্তাবিত তিন আইনের বিভিন্ন অংশে আপত্তি জানিয়েছিল তাঁর দল। এছাড়া কংগ্রেস, ডিএমকে-র তরফেও আপত্তি জানানো হয়েছিল এই আইন নিয়ে। বিরোধীদের তরফে সংসদীয় কমিটিতেও যে এই তিন আইনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। তবে বিরোধীদের আপত্তিতে কর্ণপাত করেনি সরকার। এই আবহে এই তিন আইনকে ‘নির্মম এবং অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন ডেরেক।

আরও পড়ুন: ভোট শেষে বন্ধুত্বে চিড়! দিল্লিতে লোকসভা ভোটে হারের জন্য AAP-কে দায়ী করল কংগ্রেস

প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিলে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধি থাকবে দণ্ড সংহিতায়। এছাড়াও গণপিটুনি, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির বিধান থাকবে নয়া আইনে। এই বিল পেশ করে সংসদে দাঁড়িয়ে শাহ স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না।’ রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে পরিবর্তন প্রসঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘ব্রিটিশদের আনা রাষ্ট্রদ্রোহের আইনের অবসান ঘটেছে। এখন দেশের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সরকারের বিরুদ্ধে যে কেউ যা কিছু বলতে পারে। কিন্তু কেউ দেশের পতাকা, নিরাপত্তা বা সম্পত্তির ক্ষতি করলে তাকে জেলে যেতে হবে। এটা ইংরেজ বা কংগ্রেসের শাসন নয়। বিজেপির শাসনকালে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওরকম আপস করা হবে না।’

নয়া আইন কার্যকর হলে কীভাবে বদলাবে বিচার ব্যবস্থা? এবার থেকে অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করার জন্য সাত দিন সময় পাবেন। বিচারককে সেই সাত দিনে শুনানি করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে মামলার ট্রায়াল শুরু করতে হবে। এখন যদি কেউ অপরাধের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের অপরাধ স্বীকার করে তবে শাস্তি কম হবে। এর আগে বিচারের সময় নথি উপস্থাপনের কোনও বিধান ছিল না। আমরা এটা বাধ্যতামূলক করেছি। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত নথি উপস্থাপন করতে। এতে কোনও বিলম্ব করা যাবে না।