চাটার দল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে: ড. মিজানুর রহমান

বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, আমাদের অবশ্যই রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সততা, জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গতকালই সংসদে বলেছেন, তিনি এবং তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছেন। আমাদের উচিত, এই নীতি বাস্তবায়নে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে এখন অনেক চাটার দল। তাদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে বেসরকারি গবেষণা ও মানবাধিকার সংস্থা এম্পাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি এলকপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

‘বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক সভায় ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয় এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করে দেয়। এই মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বলার সময় বলছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে, কিন্তু কাজের বেলায় তার প্রয়োগ নেই। এ জন্য একজন দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছে, তাকে দেখে আরেকজন দুর্নীতি করার সাহস পাচ্ছে। এ কারণে আজ দুর্নীতি এতো পরিমাণে বেড়েছে।’

‘এই দুর্নীতিবাজদের রুখতে সরকারকে দুষ্ট চক্রকে (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ দিতে হবে। সব নাগরিকের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও দেশের ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে।’ বলেন খলীকুজ্জামান।

সভায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার অভিযোগ করেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের অবকাঠামো, লোকবল ও সুনাম ব্যবহার করে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনুমোদন ছাড়া তার একান্ত অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান গঠন করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন।’