Myopia: আপনার শিশু কী মোবাইলে আসক্ত? সাবধান, হতে পারে চোখের এই ভয়ংকর রোগ

করোনার পর থেকে শিশু হোক অথবা প্রাপ্তবয়স্ক, প্রত্যেকেরই স্ক্রিন টাইম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। একদিকে যেমন অনলাইন ক্লাস, অন্যদিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। হয় কম্পিউটার না হয় মোবাইল, বাড়ির মানুষগুলো সারাদিনই ডিজিটাল স্কিনের দিকে তাকিয়ে ব্যস্ত নিজের কাজে। আর এই সুযোগেই শরীরে অতর্কিতে হানা দিচ্ছে এক ভয়ংকর চোখের রোগ, মায়োপিয়া।

মায়োপিয়া কী? 
 

কাছের দৃষ্টি দেখতে সমস্যা হয়, চোখের এমন ৪টি প্রধান রোগের মধ্যে একটি হল মায়োপিয়া। যখন বাইরের আলো চোখের আই বলের ভেতর দিয়ে রেটিনায় প্রবেশ না করে তার সামনেই কোনও স্থানে একটি বিন্দুতে মিলিত হয় এবং প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে, তাকে বলা হয় মায়োপিয়া।

সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বেড়ে গেলে শিশু বা কিশোর কিশোরীদের মধ্যে মায়োপিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রায় ১০২,৩৬০ জন কিশোর কিশোরী এবং শিশুদের মধ্যে মোট ১৯টি গবেষণা করা হয়, যাদের স্ক্রিন টাইম অত্যাধিক বেশি।

(আরও পড়ুন: কার স্মৃতিতে পালন করা হয় জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস? জানুন এই দিনটির তাৎপর্য)

গবেষণা থেকে কী জানা যায়? 

 

স্ক্রিন টাইম ইম্প্যাক্ট: যে সমস্ত শিশুরা অতিরিক্ত সময় মোবাইল বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাদের মায়োপিয়া হওয়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি।

ডিভাইস ভিত্তিক ফলাফল: গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, কম্পিউটার বা টিভি দেখার ফলে মায়োপিয়া হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি বেড়ে যায়, কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কম।

ভৌগোলিক অবস্থান: পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের মধ্যে, বিশেষত ২০০৮ সালের পর এই রোগের পাদুর্ভাব সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

চিকিৎসক রাজেশ প্রভু বলেন, “এই সময় অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়ার ফলে শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ার আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এটি ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় স্ক্রিন টাইম কমানো এবং সূর্যালোকে বেশি সময় কাটানো। এছাড়া চশমা এবং আই ড্রপের মাধ্যমে এই রোগ সেরে যায়।”

(আরও পড়ুন: কেন পালিত হয় আন্তর্জাতিক ক্রান্তীয় দিবস, জানুন এই দিনটির তাৎপর্য)

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক নিপা ঠাক্কার ডেভ বলেন, “মায়োপিয়া হলো নতুন একটি মহামারী যা ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৫০ শতাংশ শিশুর মধ্যে লক্ষ্য করা যাবে। যতদিন যাচ্ছে, তত বেশি শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভালো খাওয়া দাওয়া, ঘুম এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে সব থেকে যেটি প্রয়োজন সেটি হল স্ক্রিন টাইম কমানো এবং সূর্যালোকে বেশি সময় কাটানো।”