৩০ বছর অতিক্রম করা মাত্রই পুরুষ বা মহিলারা খাওয়া শুরু করেন মাল্টিভিটামিন। নিজেকে এনার্জেটিক এবং সুস্থ রাখার জন্য এই মাল্টি ভিটামিন খাওয়া হয়। কিন্তু ঠিক যে উদ্দেশ্যে মাল্টিভিটামিন খাওয়া, আদৌ সেই উদ্দেশ্য সফল হয় তো? দেখুন কী বলছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি JAMA নেটওয়ার্ক ওপেনে একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ৪০০,০০০ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল। যে গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, মানুষকে দীর্ঘায়ু করতে পারে না মাল্টিভিটামিন। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন মাল্টি ভিটামিন খেলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় ৪ শতাংশ।
(আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে গলার ভিতর গজালো চুল! রীতিমতো স্তম্ভিত চিকিৎসকরা)
গবেষকরা গবেষণা থেকে এমন কোনও প্রমাণ খুঁজে পাননি, যা থেকে বোঝা যায় প্রতিদিন মাল্টিভিটামিন খাওয়া মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। বরং দেখা গেছে, মাল্টিভিটামিন প্রত্যেকদিন খেলে একাধিক অসুস্থতা বাসা বাঁধে শরীরে। মাল্টিভিটামিন বার বার খেলে যে অসুস্থতার চিকিৎসা হওয়া দরকার ছিল, সেটাও চোখ এড়িয়ে যায় কারণ সেই অসুস্থতা মাথা চাড়া দিতে পারে না।
কেন এত বেশি মাল্টিভিটামিন খান মানুষ?
যেহেতু মাল্টিভিটামিন খুব কম অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াও যেহেতু মাল্টি ভিটামিন খাওয়া যায়, তাই নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে অনেকেই মাল্টিভিটামিনকেই বেছে নেন। তবে মাল্টিভিটামিনের জন্য অর্থ খরচ না করে যদি আপনি ফল এবং শাকসবজি কিনে খেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন আপনি।
(আরও পড়ুন: ব্রহ্মার সাজে র্যাম্প ওয়াক করলেন মডেল, প্যারিস ফ্যাশন উইকে জয়জয়কার ভারতের)
চিকিৎসকরা মনে করছেন, প্রত্যেকদিন মাল্টিভিটামিন না খেয়ে যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায়, তাহলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার রাখা উচিত। তাহলে শরীর এমনিতেই থাকবে সুস্থ। কোনও সাপ্লিমেন্ট আপনাকে সুস্থতা প্রদান করতে পারে না, তাই মাল্টিভিটামিনের ওপর ভরসা না করে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করুন নিজেকে সুস্থ রাখার।