Kiren Rijiju: ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের বিরোধী’, মোদীর বক্তৃতার সময় বিরোধীদের হট্টগোল নিয়ে সরব রিজিজু

মঙ্গলবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাবি ভাষণ পেশ করার সময় বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল করেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রায় আড়াই ঘণ্টার ভাষণে লাগাতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। স্পিকার ওম বিড়লা একাধিকবার তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ চলাকালীন বিরোধীদের হট্টগোলের জন্য এদিন নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয় লোকসভায়। বিরোধীদের হট্টগোলের ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছে শাসক দল। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই ঘটনার জন্য বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধীদের এই কর্মকাণ্ড ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের বিরোধী।

আরও পড়ুন: তাঁর ভাষণের সময় টানা চিৎকার, বিরোধী সাংসদের জল দিলেন মোদী! নেটপাড়া বলল ‘KING’

সংসদে হট্টগোল প্রসঙ্গে রিজিজু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বিরোধীদের এমন প্রতিক্রিয়া নিন্দনীয়। প্রতিটি দলকে বক্তব্য রাখার জন্য সময় বাড়ানো হয়েছিল। কংগ্রেসকে বক্তব্য রাখার জন্য ৩ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল। এমনকী গতকাল কংগ্রেস মণিপুরের সাংসদকেও কথা বলার জন্য সময় দেয়নি। লোকসভায় কোনও বিল বা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলে দল ঠিক করে কে ভাষণ দেবে। সেক্ষেত্রে তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বিরোধীরা তাঁকে কথা বলতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের সময়ও তারা লাগাতার বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল।’ 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, গত ১০ বছরে দেখা গিয়েছে যখনই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন তখনই কংগ্রেস হট্টগোল শুরু করে।রিজিজু মনে করেন, এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে রাজনীতি করার জন্য কংগ্রেসের উচিত মণিপুরের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। নতুন সাংসদদের জন্য আমি দুঃখিত। তারা কীভাবে শিখবেন? প্রধানমন্ত্রী যখন কথা বলছেন, তখন সাংসদদের উদ্দেশ্যে তিনি কী বলছেন তা শোনার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের ঐতিহ্য নয়।

এদিকে, এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিরোধীদের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়ে সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সদস্যরা সংসদীয় ঐতিহ্য লঙ্ঘন করেছেন। স্পিকার ওম বিড়লাও বলেছেন, বিরোধী সাংসদদের আচরণ সংসদীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি জোর দেন, অধিবেশন নিয়ম অনুযায়ী চলে এবং সেটাই করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৮ তম লোকসভার প্রথম অধিবেশনে ২৪ জুন নতুন সাংসদদের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হয়। তারপর থেকেই মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন বিরোধীরা।