রথযাত্রা আসছে। ওড়়িশার পুরীতে বিরাট ধুমধাম। তবে এক্ষেত্রে বা পিছিয়ে থাকবে কেন বাংলা? এবার দিঘাতেও জগন্নাথ ধাম। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি লিখেছেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে পুরীর মতোই এবার বাংলার দিঘাতেও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে গর্বের অনুপ্রেরণার মন্দির চত্বর প্রভু জগন্নাথদেবের জন্য। ভগবান বলভদ্র ও শুভদ্রাকেও পুজো করা হবে এখানে। রথযাত্রাও পালিত হবে এখানে।
মমতা লিখেছেন, ‘কিছু আলোচনার পরে ঠিক হয়েছে যে আগামী বছর থেকেই দিঘাতে রথযাত্রা উৎসব পালিত হবে। এখনও পর্যন্ত কিছু কাজ বাকি থেকে গিয়েছে। আগামী বছরে ভগবানের রথের চাকা গড়ানোর আগে সেটা শেষ করতে হবে। দিঘাতে রথযাত্রা অত্যন্ত শ্রদ্ধাও পবিত্রতার সঙ্গে পালন করা হবে। সেখানে সকলের আমন্ত্রণ রইল। ভারতের জন্য একটা দিঘা এবার একটা পূূণ্য়ভূমি হতে চলেছে। জয় জগন্নাথ।’
মুখ্য়মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে এই লেখার পরেই অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, এটা আমাদের কাছে গর্বের। বাংলা শক্তিপীঠের জন্য পরিচিত। তারকেশ্বর, চারলা নবদ্বীপের মতো ধর্মীয়স্থান এখানে রয়েছে। এবার জগন্নাথ ধাম বাংলার মুকুটে নতুন পালক। এটা উদ্বোধন হওয়ার পরে অনেক পর্যটক এখানে আসবেন। বাংলা অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে।
এদিকে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার, মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে উঠেছিল। মামলা দায়ের করে অভিযোগ করা হয়েছিল, শুধুমাত্র রাজারহাটের উন্নয়নের কাজেই সীমাবদ্ধ হিডকো। এর বাইরে আর কোনও কাজ করতে পারে না। অন্য কোনও জায়গার অন্য কোনও পরিকাঠামোর বানানোর কাজে হাত লাগাতে পারে না। কিন্তু এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি হাইকোর্ট। মামলাটি খারিজ করে প্রধান বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে কী ভুল রয়েছে? পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতে পারে। এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই।’
খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি নিয়ে বার বার খোঁজ নিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এই মন্দিরের নানা দিক নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি।
অনেকটা পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ ধাম। এই ৬৫ মিটার উঁচু এই মন্দির।। সমুদ্র সৈকতের কাছে ২০ একর জমির উপর মন্দিরটি ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত হচ্ছে। রাজস্থান থেকে আনা লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে মন্দির। একটি ফোয়ারা এবং লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের ব্যবস্থা থাকছে। এককথায় দিঘা বেড়াতে গেলে সমুদ্র ঝাউবন তো আছে। সঙ্গে থাকছে জগন্নাথ মন্দির।