Onion, Potato, Tomato Price Rise: টমেটো ৮০ টাকা, আলু- পেঁয়াজের দামও বাড়ছে, কারণটা কী?

জিয়া হক

গতবছর উৎপাদন কম হওয়ায় পেঁয়াজ ও আলুর দাম এখনও বেড়েই চলেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এক বছর আগের তুলনায় জুনে টমেটোর দাম কমলেও আগের মাসের তুলনায় সবজির দাম অনেক বেশি।

কর্মকর্তারা খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিকে কমাতে খরিফ বা গ্রীষ্মের রোপণের উপর নির্ভর করছেন। এক আধিকারিকের কথায়, গ্রীষ্মকালীন বপন সম্প্রসারিত হলে বাজারের মনোভাবের উপর ‘শুভ প্রভাব’ ফেলবে, যা দাম কমাবে।

দ্বিতীয় এক কর্মকর্তা জানান, এপ্রিলের পর থেকে গরম, শুষ্ক গ্রীষ্মে সাধারণভাবে খাওয়া শাকসবজির সরবরাহ কমেছে, আলু, পেঁয়াজ এবং টমেটোর চাহিদা বেড়ে গেছে এবং দাম বেড়েছে।

এক বছর আগের তুলনায়, ৩০ জুন পর্যন্ত, গড় পাইকারি পেঁয়াজের দাম ১০৬% বেড়ে প্রতি কুইন্টাল ১২৬০.৬৬ টাকা (১০০ কেজি) থেকে ২৬০৩.৫৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাইকারি আলুর দাম কুইন্টাল প্রতি ১০৭৬.১৪ টাকা থেকে লাফিয়ে ২১১৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ৯৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।

বার্ষিক ভিত্তিতে, জুন মাসে পাইকারি টমেটোর দাম ৪০% হ্রাস পেয়েছে, প্রতি কুইন্টাল ৫৬৮০.৭৫ টাকা থেকে কুইন্টাল প্রতি ৩৩৬৮.২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে, আগের মাসের তুলনায়, পাইকারি দর ১১২.৩৯ শতাংশ বেড়েছে, প্রতি ১০০ কেজি ১৫৮৫.৮৪ টাকা থেকে ৩৩৬৮.২৮  টাকায় পৌঁছেছে, যা অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, একটি পরিবারের শাকসবজির পেছনে মাসিক ব্যয়ের ৪৪ শতাংশ আসে এই তিনটি পণ্য।

বেড়েছে খুচরো দামও। ২ জুলাই দেশব্যাপী পেঁয়াজের মডেল রেট (এক ধরণের গড়) কেজি প্রতি ৪২.২১ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ৮১% বেশি, যখন প্রতি কেজি ২৩.২৯ টাকা ছিল।

এক বছর আগের তুলনায় আলুর খুচরো মূল্য ৫৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ২১.৯১ টাকা থেকে ৩৪.৪ টাকা হয়েছে। ২ জুন টমেটোর ভোক্তা মূল্য ১৫ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৬৪.৫০ টাকা থেকে ৫৪.৪২ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে এক মাস আগের তুলনায় সবজির দাম কেজি প্রতি ৩১.৭৪ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪.৪২ টাকা হয়েছে।

গত বছরের অগস্ট মাসে খুচরো পেঁয়াজের দাম চারগুণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার জনসাধারণের কাছে ভর্তুকিযুক্ত পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে ২০২৩ সালে পেঁয়াজের উৎপাদন ২০ শতাংশ কমেছে। গত বছর দুর্বল বর্ষার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের ফলে ২০২৪ সালে রবি বা শীতকালীন বপন করা পেঁয়াজের উৎপাদন আরও ২০ শতাংশ কমে ১ কোটি ৯০ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছর ছিল ২ কোটি ৩৭ লাখ টন। রবি পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেশের বার্ষিক সরবরাহের ৭৫% পর্যন্ত সরবরাহ করে।

বিশ্বের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশটি গত বছরের ডিসেম্বরে পণ্যটির রফতানি নিষিদ্ধ করে, যা ৪ মে তুলে নেওয়া হয়। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।