Bangladeshi Smuggler Killed: বাংলায় প্রবেশের চেষ্টা, বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বাংলাদেশি পাচারকারীর

আদিত্য নাথ ঝা

 বৃহস্পতিবার রাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের তিনগাঁও বর্ডার এলাকায় সীমান্তের তারকাঁটা কেটে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক। সে ও তার সঙ্গীরা ছিল। সেই সময় বিএসএফ তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এরপরই বিএসএফ গুলি চালায়। তাতে মারা গিয়েছে সন্দেহভাজন ওই বাংলাদেশি নাগরিক। সীমান্ত এলাকাটি বাংলার মধ্য়েই পড়ছে।  

কিষাণগঞ্জের বিএসএফ সদর দফতরের তরফ থেকে একটি প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল ৬-৭জন পাচারকারী। বিএসএফ তাদের থামতে বলে। কিন্তু তারপরেও তারা শোনেনি। একেবারে বেপরোয়াভাবে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেই সময় বিএসএফ ভয় দেখানোর জন্য একটা গ্রেনেড ছোঁড়ে কিন্তু সেই সময় পাচারকারীরা বিএসএফকে ঘিরে ধরে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই পদক্ষেপ নেয় বিএসএফ। 

মৃতকে চিহ্নিত করেছে বিএসএফ। তার নাম মহম্মদ রাজু। সে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ওই ব্যক্তি বার বার পাচারকাজ চালানোর চেষ্টা করেছে বলে খবর। 

এদিকে বার বরা বলার পরেও ওই পাচারকারীরা কিছুতেই থামছিল না। এরপরই এক জওয়ান তার সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েছিলেন। পরে বিএসএফ ওই যুবকের কাছ থেকে তার কাটার যন্ত্র, ধারলো অস্ত্র, মোবাইল ফোন, বাংলাদেশি ৪০ টাকা পেয়েছে। 

পরে বিএসএফ ওই দেহ গোয়ালপোখর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তার দেহ ইসলামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। 

কিষানগঞ্জের পুলিশ সুপার সাগর কুমার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা বাংলায় হয়েছে। কারণ কিষাণগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত নেই। 

এদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি বর্ষাকালে ফের সক্রিয় হয়েছে পাচারকারীরা। এই বর্ষার সুযোগ নিয়ে তারা পাচার করার চেষ্টা করে। এমনকী তারা তারকাটা কেটেও ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। তবে সেটা এবার সম্ভব হয়নি। এবারও কয়েকজন ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার আগেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিএসএফ।