Bankura BJP in-fight: শুরু বাঁকুড়ায় হারের ‘পোস্টমর্টেম’, রোগ ধরতে ‘টেস্ট’ করতে দিল বিজেপি

গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া লোকসভা আসনটি জিতেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সেই আসনটি ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবিরের হাত থেকে। এই আবহে বাঁকুড়া হাতছাড়া হওয়া নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। আর এই আবহে সুভাষের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিজেপি নেতা জীবন চক্রবর্তীকে শোকজ করল দল। উল্লেখ্য, এবারে সুভাষের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া আসনে লড়েছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন। তবে কেন এই ‘বিদ্রোহ’? এই নিয়ে তাঁর কাছ থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। আর সেই জবাব না পাওয় পর্যন্ত জীবনকে আপাতত দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: সংগঠনে বড়সড় রদবদল বিজেপির, তবে দায়িত্ব থেকে ‘ব্রাত্য’ বাংলা ও বাঙালি!)

আরও পড়ুন: বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট ‘লুকিয়ে’ চরম বিপাকে সরকার, ভর্ৎসনা আদালতের

আরও পড়ুন: শপথ হলেও বজায় জট, বিতর্কে নয়া মোড়, শেষে বিমানের হয়েই খেলে দিলেন রাজ্যপাল?

এদিকে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হওয়া জীবন চক্রবর্তীকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল অখিলভারতীয় হিন্দুমহাসভা। উল্লেখ্য, নির্দল দাঁড়ালেও সেভাবে সুভাষের ভোট কাটতে পারেননি জীবন। নির্বাচনে মাত্র ৩৫০৬ ভোট পেয়েছিলেন তিনি। আর সুভাষ হেরেছিলেন প্রায় ৩২ হাজার ভোটে। এদিকে জীবনের থেকে বেশি ভোট (২৬২০৯) নোটা-য় পড়েছিল বাঁকুড়া আসনে। এই আবহে জীবনের জমানত বাজেয়াপ্ত হয় ভোটে। তবে বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা দলেরই মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দল হিসেবে লড়েছেন, এই দৃশ্য অস্বস্তিকর। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। আর তাই জীবনকে কারণ দর্শানোর চিঠি ধরানো হয়েছে। এদিকে এই নোটিশ প্রসঙ্গে জীবন নিজে বলেন, ‘এই নোটিস পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি কোনও দিনই বিজেপির মতাদর্শের বিরোধিতা করিনি। বাঁকুড়া জেলায় দল পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সুভাষ সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা এবং বিরোধীদের সঙ্গে যোগসাজশের প্রতিবাদ করে প্রার্থী হয়েছিলাম। আমার জবাব তাড়াতাড়ি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’

জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফ থেকে জীবনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশের আগে পর্যন্ত জীবনকে বরখাস্ত করা হয়েছে দল থেকে। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ায় বার বার বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। বাঁকুড়ায় যাতে এবারে সুভাষকে টিকিট না দেওয়া হয়, সেই দাবিতে পথে নেমেছিলেন জেলা বিজেপির একাংশ। সুভাষকেই আবার প্রার্থী করে বিজেপি। তার পর প্রকাশ্যেই নির্দল প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন জীবন। ‘নো ভোট টু সুভাষ’ বলে প্রচার চালিয়েছিলেন। ওই সময় অবশ্য বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব দাবি করেন, জীবনের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁকে বহু আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এবার ভোটে সুভাষ হারতেই ‘বহিষ্কৃত’ জীবনকে নোটিশ পাঠাল দল।