ওএমআর শিটের খোঁজ পেতে সার্দান অ্যাভিনিউতে সিবিআই হানা, সঙ্গে সাইবার বিশেষজ্ঞ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ওএমআর শিট ও সার্ভার দুর্নীতির খোঁজ করতে প্রচণ্ড চেষ্টা করতে হবে। তখন থেকেই আরও তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে সিবিআই। আজ, মঙ্গলবার খাস কলকাতার সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকার একটি অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। টেট পরীক্ষার উধাও হওয়া ওএমআর শিটের তথ্যের খোঁজে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হানা দেয় সিবিআই। তবে এবার তাঁদের সঙ্গে ছিল এক কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এবং এক সাইবার বিশেষজ্ঞ।

এদিকে সিবিআইকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর শিট তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয় তাহলে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিসেষজ্ঞদের সঙ্গে যুক্ত করে সাহায্য নিতে পারবে। এই নির্দেশের চারদিনের মধ্যেই সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে আজ এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে হাজির হয়। মঙ্গলবার দুই বিশেষজ্ঞকে নিয়ে সার্দান অ্যাভিনিউ এলাকার এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল তার কেন্দ্রে ছিল ওএমআর শিটের তথ্য। এই তথ্য স্ক্যান করার দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি।

আরও পড়ুন:‌ এবার সিভিক ভলান্টিয়ারের কপালে জুটল গণপিটুনি, সবংয়ে তিন বিজেপি কর্মীকে আটক

অন্যদিকে এই সংস্থার থেকে নানা তথ্য চাওয়া হলেও মিলছিল না। তাই এবার সেখানে হানা দেওয়া হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। দুই বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে আজ সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ৫১৮ নম্বর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কম্পিউটারে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটের তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওএমআর শিট মামলায় সিবিআইয়ের কাছে আসল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল সেটা শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু তা জানাতে পারেনি সিবিআই।

এছাড়া আগে একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টের ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। তদন্তের গতি নিয়েও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও ওএমআর সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য হাতে আসেনি সিবিআই অফিসারদের। তাই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, তথ্য না পেলে শুনানি এগোনো আর সম্ভব নয়। ওএমআর স্ক্যান করে যে সার্ভারে রাখা হয়েছিল সেটা ২০১৭ সালে বদলে ফেলা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে আজ কি নথি পেলেন গোয়েন্দারা তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউ।