Kashipur: কাশীপুরে ‘দাদাগিরি’ তৃণমূলের! এমএলএর নাম করে প্রোমোটারকে মাটিতে ফেলে মার

পাড়ায় পাড়ায় দাদা। এর আগে জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে উঠেছিল অভিযোগ। বেলঘড়িয়া, আড়িয়াদহ এলাকায় দাপট ছিল জয়ন্তদের। আর এবার কাশীপুর থানা এলাকার সিঁথির মোড়ের কাছে প্রোমোটারের অফিসে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এমনকী স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষের নাম করে এই সব কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সময় জয়ন্ত সিংয়ের নাম করেও ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ। তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে পালটা ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধেই মদ্যপ অবস্থায় ফোনে গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে। 

এই ঘটনায় অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা নামে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এই হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

৫ লাখ টাকার জন্য় ওই প্রমোটারকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী প্রোমোটার যেখানে ফ্ল্যাট তৈরি করছেন সেখানকার এক ভাড়াটিয়াকে তুলে দেওয়ার মধ্য়স্থতা করার নাম করে ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে পরে ওই ভাড়াটিয়া উঠে যান। 

কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা তাদের দাবি থেকে সরে আসেননি বলে অভিযোগ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে দলবল নিয়ে ওই তৃণমূল কর্মী প্রোমোটারের অফিসে ঢুকে একেবারে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। একটা সময় বাঁশ দিয়ে সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়। টিভি ভেঙে দেওয়া হয়। প্রোমোটারকে মাটিতে ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। 

এই প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কেন আমার নাম বলা হয়েছে জানি না। আমি বেশ কয়েকদিন এলাকায় যাইনি। রানা বলে যার কথা বলা হচ্ছে তাকে আমি চিনি। শিক্ষিত বলেই জানতাম। তার তার সঙ্গে আমার বেশি দিনের যোগাযোগ নয়। পুলিশকে বলব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানা নেই আমার। তবে আমি বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বকে জানাব। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। 

ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল? সিসি ক্যামেরায় কী ধরা পড়ল? 

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় শুক্রবার রাতে কয়েকজন প্রোমোটারের অফিসে আসেন। দুপক্ষের মধ্য়ে বচসা চলাকালীনই শুরু হয় মারধর। ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় প্রোমোটারের সঙ্গীদের। টিভি ভেঙে দেওয়া হয়। অফিসে লাখ খানেক টাকা ছিল। সেই টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। 

আক্রান্ত প্রোমোটার জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা নিজেদে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীনের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করছিল।