ইসলামপুরে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার দলেরই আরেক নেতা

ইসলামপুরে আততায়ীর গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বাপি রায়ের খুনে গ্রেফতার করা হল শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া এলাকার তৃণমূল নেতা অনিকেত সরকারকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন – ‘কেষ্ট তো জেলে! আমরা জিতলাম? ইডি-সিবিআই দিয়ে জেতা যাবে না,’ হুঁশ ফেরালেন সুকান্ত

পড়তে থাকুন – কুলতলিতে সাদ্দামের খাট সরাতেই বেরিয়ে এল গোপন সুড়ঙ্গ, মিশেছে খালে! হতবাক পুলিশ

 

গত ১৩ জুলাই রাতে ইসলামপুরের মাদারিপুরে একটি ধাবায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা বাপি রায়। তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জেতা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী। গুলিবিদ্ধ হন আরও ১ তৃণমূল নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন মাস্ক পরে জনা তিনেক দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। তার একটি গুলি লাগে বাপির গলায়। এই ঘটনায় অনিকেতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বাপির দিদি রেণুকা রায়। এর পরই অনিকেতকে গ্রেফতার করে ইসলামপুর মহকুমা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনসহ একাধিক গুরুতর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, অনিকেতের সঙ্গে ব্যবসায়িক কোন্দল চলছিল বাপির। তার জেরেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে বাপিকে খুন করিয়েছে ওই তৃণমূল নেতা। এদিন ধৃতকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজত চায় পুলিশ। আদালত ১০ দিনের হেফাজত বরাদ্দ করেছে।

আরও পড়ুন – চলতি সপ্তাহ থেকে পোলট্রি মুরগি আসবে না বাজারে,পুলিশের জুলুম, আন্দোলনে ব্যবসায়ীরা

ওদিকে ঘটনার পর বাপির একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। জানা যায়, বছর কয়েক আগে নকল মদ তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল বাপি। পরে জামিনে মুক্তি পায় সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগ ছিল।

ঘটনার পর থেকেই খুনের পিছনে তৃণমূলেরই একাংশের হাত রয়েছে বলে দাবি করতে থাকে বাপির পরিবার। এমনকী সিবিআই তদন্তের দাবিও তোলে তারা।