Mahua Moitra: ‘আপনি শ্লীলতাহানি করবেন আর মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারবেন না, সরি…’ লিখলেন মহুয়া

ঘটনাচক্রে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবারই অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ চারজন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে কোনও অপমানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। আর তারপরেই এক্স হ্যান্ডেলে বিশেষ মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে তিনি এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট বা তার কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকে উল্লেখ করেননি।

মহুয়া এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, অবিশ্বাস্য। রাজ্যপাল শ্লীলতাহানি করবেন, রাজভবন চত্বরে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করবেন আর সাংবিধানিক রক্ষাকবচের দাবি করবেন। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না বলে বলা হচ্ছে। সরি আমরা রোজ সংবিধান দিবস পালন করি, আমরা বলতেই থাকব। লিখেছেন মহুয়া।

 

কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ঠিক কী বলা হয়েছে?

হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।

হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল একটা প্রাথমিক মামলা করেছিলেন।…যদি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া না হয়, অপর পক্ষকে যদি এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্য বলার সুযোগ দেওয়া হয় তবে তিনি ( রাজ্যপাল) অপূরণীয় ক্ষতি ও আঘাতের মুখোমুখি হবেন।

কার্যত মুখ্য়মন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে হাইকোর্ট। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কথা বলতে পারবেন না। এটা মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। আপাতত বলা হয়েছে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কুণাল ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রিয়াদ হোসেন রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি।

প্রসঙ্গত এর আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন তবে তিনি যেই হোন তাকে ভুগতেই হবে। তিনি বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী আমার সাংবিধানিক কলিগ। আমি সেই হিসাবেই তাঁকে মর্যাদা দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিটা আদালত বিচার করবে।