Minor girl murder: রাস্তায় জড়িয়ে ধরতেই চিৎকার করে ওঠে নাবালিকা, ভয়ে গলা টিপে খুন করল যুবক

এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার পর খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হাওড়ার জয়পুর থানার খড়িগেড়িয়া এলাকার। ইতিমধ্যেই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে পুলিশ সুশান্ত দলুই ওরফে বাপ্পা নামে বছর একুশের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামার অজু করে তদন্ত শুরু করেছে জয়পুর থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে গদি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিরোধী দলের প্রধানের বাবাকে খুন! গুন্ডারাজ?

জানা গিয়েছে, নাবালিকার সঙ্গে সুশান্তর পূর্ব পরিচয় ছিল। রবিবার এলাকায় একটি পুজোকে ঘিরে অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেই অনুষ্ঠানে দুজনকে একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করছিল। পরে একটি দোকান থেকে তারা দুজনে জল কিনেছিল। সেখানেই শেষবার তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই নাবালিকাকে আর দেখা যায়নি। এদিকে, নাবালিকা বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে সকালে গ্রামের একটি জমি থেকে নাবালিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি তারা পুলিশকে এ বিষয়ে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর করে জানতে পারেন রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা।

ঘটনায় খবর দেওয়া হয় নাবালিকার পরিবারে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এদিকে, নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই তার পরিবারের তরফে সোমবার সকালে জয়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে।গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সুশান্তর সঙ্গেই শেষ বার নাবালিকাকে পুজোর অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল। এরপরেই পুলিশ সুশান্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে অবশেষে সে নাবালিকাকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। কেন এই খুন সে কথাও পুলিশকে জানিয়েছে যুবক। 

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার রাতে দুজনেই একসঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় যুবক আচমকা নাবালিকাকে জড়িয়ে ধরে। তখন নাবালিকা চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেছিল। তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছিল যুবক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার হয়ে ওই যুবক নাবালিকাকে গলা টিপে খুন করে। এরপর মেয়েটির মৃতদেহ গ্রামের একটি জমিতে ফেলে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা পাশাপাশি আরও কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে জয়পুর থানার পুলিশ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।