Sukanta Majumdar: তিহাড় জেলে কে কে যাবে আপনারাই তো বলতেন, সুকান্তর পালটা জবাব দিচ্ছেন কর্মীরা

ইডি-সিবিআই নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে সংগঠনকে মজবুত করার উপর জোর দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এনিয়ে দলের কর্মীসভায় তিনি বেশ জোর গলায়  পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের অন্দরে এখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সেই বক্তব্যকে ঘিরেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ নির্বাচনের আগে একের পর এক সভায় সিবিআই-ইডির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেতাদের চমকাতেন বিজেপি নেতারা। সেই দলে সুকান্ত নিজেও ছিলেন। সেক্ষেত্রে ভোটে দলের খারাপ ফল হওয়ার পরে এখন সব দায় কেন দলের কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

তিহাড় জেলে কে কে যাবে আপনারাই তো বলতেন, সুকান্তর পালটা জবাব দিচ্ছেন কর্মীরা।

দলের অনেকেই এখন প্রশ্ন শুনছেন কারা কারা জেলে যাবে তার একেবারে লম্বা তালিকা তুলে ধরতেন সুকান্ত মজুমদার নিজেই। সভা সমিতিতে তাঁদের বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত এই ইডি সিবিআইয়ের প্রসঙ্গ। আর সাধারণত নেতাদের কথায় বিশ্বাস করেন অন্যান্যরা। কর্মীরা তো তাঁদের কথাতেই চলেন। সেক্ষেত্রে এখন সব দায় কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের হাত ধুয়ে ফেলাটা কতটা সঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

কী বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার? 

রবিবার হুগলির হিন্দমোটর ও পান্ডুয়ার কর্মীসভা করেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে সুকান্ত জানিয়ে দেন, মোদীজি এসে ম্যাজিক ছড়িয়ে দেবেন আর আমরা শ্রীরামপুরে জিতে যাব এটা হবে না। অনেকেই বলেন দাদা সিবিআইকে বলুন ওকে অ্য়ারেস্ট করিয়ে দিতে। তাহলেই আমরা জিতে যাব। হবে না। অনেকে বলেন , ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিল, জিতে যাব। তাও হবে না।

সেই সঙ্গেই তিনি বার বার জানিয়ে দেন যাতে দলকে শক্তিশালী করা হয়। তার জেরেই জেতা সহজতর হবে। সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল তো ছিলেন না। তিনি তো জেলে। বীরভূমে জিতেছি আমরা? সুকান্ত মনে করিয়ে দেন, আপনি পরিশ্রম করে যদি সংগঠন তৈরি করেন তবেই জিতবেন। আর আপনি যদি পরিশ্রম করে সংগঠন তৈরি করতে না পারেন তবে যাকে খুশি অ্যারেস্ট করুন কোনও দিন জিততে পারবেন না।

পান্ডুয়াতে তিনি বলেন, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তবে সেটা বিরিয়ানির মশলার মতো। বিরিয়ানির চাল আর মাংস সেটা দলের কর্মীদেরই হতে হবে। তবেই ভালো বিরিয়ানি হবে। জানিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।

কিন্তু এখানেই দলের নীচুতলার কর্মীদের একাংশের মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি বিরিয়ানির মশলা হয় তবে সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী না হলে ভোট করা সম্ভব নয় এটা তো বিজেপি নেতৃত্বরাই বলতেন।