আবার মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা–মোদী, কোন রসায়নে দু’‌পক্ষের সাক্ষাতের সম্ভাবনা?

লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লড়াই লেগেই রয়েছে। আর রাজ্যের ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। যা আদায় হয়নি। এই আবহে সাত মাস পর আবার নয়াদিল্লিতে মুখোমুখি হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের ‘গভর্নিং কাউন্সিলে’র বৈঠক রয়েছে। এই রসায়নকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখোমুখি আসতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

যুযুধান দু’‌পক্ষের মধ্যে শেষবার দেখা শেষবার হয়েছিল গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে। এবার এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন বলেই সূত্রের খবর। আজ, বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের দফতরে রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে। এখন নতুন করে নীতি আয়োগের টিম তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পদাধিকারবলে যিনি চেয়ারম্যান। রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, শিবরাজ সিং চৌহান আছেন এখানে। আর বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে নতুন কমিটিতে আছেন এনডিএ শরিকদলের জিতিনরাম মাঝি, চিরাগ পাসোয়ান, রামমোহন নাইডু, রাজীবরঞ্জন সিং লালন, এইচডি কুমারস্বামী।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমরা জাতীয়তাবাদী মুসলমানের পক্ষে’‌, শমীকের মন্তব্যে ‘‌একা’‌ হয়ে গেলেন শুভেন্দু‌

এখন বিরোধী দলগুলির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয় বৃহত্তর দল সংসদে। বাংলার সব কটি নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা হারিয়েছে তারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং সমস্ত উপনির্বাচনে ঘাসফুলের ঝড়ে পদ্মবনে কাঁটা পড়েছে। এই আবহে সূত্রের খবর, ‘বিকশিত ভারত–২০৪৭’ এবারের বৈঠকের মূল থিম। সেখানে রাজ্যগুলির মতামত এবং সহযোগিতা না পেলে ভারত বিকশিত হতে পারবে না। এটা বিলক্ষণ বোঝেন নরেন্দ্র মোদী। তার উপর এনডিএ সরকারকে চাপে রাখতে তৈরি হচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এখানে থাকবে। যার কাণ্ডারি হিসেবে দেখা যাবে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এই বৈঠকে বিরোধী জোটের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে দু’‌দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নযাদিল্লি আসার কথা শোনা গিয়েছে। তখন সংসদের বাজেট অধিবেশনও চলবে। সংসদ ভবনে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী ৯ রাজ্য নীতি আয়োগের বৈঠকে নতুন ফৌজদারি আইন থেকে রাজ্যের বকেয়া, সিবিআই–ইডির অপব্যবহার নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা সরব হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিন নতুন ফৌজদারি আইন রূপায়ন পিছিয়ে দিতে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহকে চিঠি দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। সুতরাং নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক উত্তপ্ত হতে পারে।