লেখক অমিতাভ ঘোষের মুকুটে নতুন পালক, ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েনা থেকে মিলল স্বীকৃতি

লেখক অমিতাভ ঘোষকে ১২৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইতালির ঐতিহাসিক ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েনা দ্বারা সম্প্রতি সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি এই স্বীকৃতির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুরস্কার সংক্রান্ত বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি আয়োজকদের প্রতি তাঁর মুগ্ধতা তুলে ধরে। অতীতেও অমিতাভ ঘোষ সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন।

তুসকানির সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লেখক অমিতাভ ঘোষকে সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১২৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিয়েনা ইতালির অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। লেখক এই ইভেন্টের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন এবং এই নতুন মাইলফলকটি তাঁর অনুগামীদের সাথে শেয়ার করেছেন। তিনি ইন্সটাগ্রাম পোস্টটির ক্যাপশনে লিখেছেন: ‘এই সুন্দর পুরানো হলটিতে ৭৮৬ বছরের পুরানো ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েনা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়ে আমি বিস্মিত! বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে আমার নাম লিখে রাখা আমার কাছে খুবই সম্মানের বিষয় ছিল! এছাড়াও আমার কাজের ওপর যারা গবেষণা করতে আগ্রহী, সেই সকল ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যও আগ্রহ প্রকাশ করেন অমিতাভ ঘোষ।

অতিমারি পর্বে লেখা ও প্রকাশিত তাঁর তিনটি বই দ্য নাটমেগস কার্স, জাঙ্গল নামা এবং দ্য লিভিং মাউন্টেন—এর মধ্যে পাহাড়, নদী, জঙ্গলের বয়ানে এক ধরনের ইতিহাস চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়টিতেই গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন অমিতাভ ঘোষ। ১৯৯০ সালে রচিত দ্য শ্যাডো লাইন উপন্যাসের জন্য অমিতাভ এদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে রচিত ক্যালকাটা ক্রোমোজোম-এর জন্য পান আর্থার সি ক্লার্ক পুরস্কার। ২০০৭ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তিনি ৫৪তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সম্মানে ভূষিত হন। ২০০৯ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অভ লিটারেচারের ফেলো নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে অমিতাফ ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আর্ট অভ চেঞ্জ ফেলো হন।