Chandipura Virus: চাঁদিপুরা ভাইরাস আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে, এর সম্পর্কে কী কী জেনে রাখা দরকার

সাম্প্রতিক গুজরাটে মারাত্মক আকারে ছড়িয়েছে চাঁদিপুরা ভাইরাস, মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।

গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুশিকেশ প্যাটেল এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আরাবল্লীর মোটা কাঁথারিয়া গ্রামের এক শিশু মৃত্যুকে রাজ্যের প্রথম চাঁদিপুরা ভাইরাসে মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছি। ওই ৪ বছর বয়সী শিশুটি সবরকাঁধার একটি সরকারি হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এরপর আরও দুটি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, তারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।’

(আরও পড়ুন: পর্যটকদের তাড়িয়ে দিচ্ছে বার্সেলোনা! ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের এমন পদক্ষেপের কারণ কী)

পঞ্চমহল জেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪ বছরের ওই ছোট্ট শিশুটি, যে কি না ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। তার শরীরে জ্বর, বমি এবং সাধারণ চাঁদিপুরা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। ওই মৃত মেয়েটির বাসভবনের কাছে স্যান্ডফ্লাইয়ের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যেটি কিনা এই সংক্রমণের প্রধান বাহক। এই ফ্লোবোটোমাস প্রজাতির ক্ষুদ্র এবং রক্তচোষা পোকাগুলি প্রধানত গ্রীষ্ম মন্ডলী এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করে।

স্যান্ডফ্লাই কী? 

 

এই ছোট ছোট পোকা গুলি, চাঁদিপুর ভাইরাসের প্রধান বাহক। বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এই পোকাগুলি বংশ বিস্তার করতে পারে। উত্তর গুজরাটে যেখানে সব থেকে বেশি শুষ্ক তাপমাত্রা থাকে, সেই আবহাওয়া এই পোকাগুলির জন্য অনুকূল। এই পোকাগুলি দেওয়ালে ফাটল করে সেখানে ডিম পারে এবং বংশবিস্তার করে। বেশিরভাগ মাটির ঘরে এই পোকাগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়।

(আরও পড়ুন: ধুতি পরা কৃষক মলে ঢুকতে পারবেন না! ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই সরকারি পদক্ষেপ)

ভাইরাসের লক্ষণ? 

 

প্রধানত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হঠাৎ তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা এবং পেশিতে ব্যথা হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হলে খিচুনি, কোমা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগীর। তবে অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা এক হওয়ায় এই ভাইরাসের সনাক্তকরণ প্রথমে করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে একবার যখন এই ভাইরাস মস্তিষ্ককে আক্রমণ করে, তখন সেই রোগীকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে যায়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা 

 

প্রথমেই স্যান্ডফ্লাই কামড়ের ঝুঁকি কমানোর জন্য ফুলহাতা জামা কাপড় পড়ুন। এছাড়া পোকামাকড় নিরোধক ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে। রাতে মশারি টাঙিয়ে শোওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বালি মাছির আবাসস্থলে কীটনাশক স্প্রে দিতে হবে, যাতে বংশবিস্তার কিছুটা হলেও রোধ করা যায়।