London Violence Latest Update: লন্ডনে হামলা পুলিশের ওপর, জ্বলল আগুন, ছোড়া হল পাথর, আঙুল মুসলিম কাউন্সিলরের দিকে

লন্ডনের লিডস অঞ্চলের হেয়ারহিল এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ল গতকাল। স্থানীয় বাসিন্দারা লন্ডন পুলিশের ওপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রিপোর্ট অনুযায়ী, হেয়ারহিল এলাকা থেকে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। সেই সময়ই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে আচমকা। পুলিশ এলাকাবসীদের বাড়ির ভিতরে থাকতে বলে। তবে যত সময় গড়ায়, ততই রাস্তায় ভিড় জমে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। আগুন জ্বলতে শুরু করে রাস্তায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হিংসা ছড়াতে শুরু করে স্থানীয় সময় বৃহস্পতি বিকেল ৫টা নাগাদ। (আরও পড়ুন: নিজের স্ত্রী ভেবে জনসমক্ষে অন্য মহিলাকে চুম্বন করতে গেলেন বাইডেন! ভাইরাল ভিডিয়ো)

আরও পড়ুন: ‘আমার আর কেউ নাই’, ছেলের রক্তাক্ত দেহে মাথা রেখে কান্না মায়ের, কাঁদছে বাংলাদেশ

রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু এজেন্সি কর্মী এবং শিশুদের ঝামেলার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। এই আবহে একটি বাড়িতে গিয়ে এক শিশুকে চাইল্ডকেয়ারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সমাজকর্মীরা। সেই সময়ই বহু লোক সেখানে জড়ো হতে শুরু করে। এরপরই এজেন্সি কর্মী এবং শিশুদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। এরপর বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায় ধীরে ধীরে। এই আবহে সেই এলাকায় আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে এই হামলার সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মোথিন আলি বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মোথিন আলি লিডস গ্রিন পার্টির সদস্য। এদিকে মোথিন আলি পরে দাবি করেন, পুলিশকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষায় কথা বলতে পারছিলেন না। তাই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। (আরও পড়ুন: হিংসা কবলিত বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে মেঘায়লে এলেন ২০২ ভারতীয়, ১০১ নেপালি)

আরও পড়ুন: আমেরিকাগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বিপত্তি মাঝ আকাশে,২২৫ যাত্রী নিয়ে অবতরণ রাশিয়ায়

আরও পড়ুন: রক্তে ভাসছে বাংলাদেশ, কোটা-বিরোধী আন্দোলনে মৃত অন্তত ৩৯, রাতে বন্ধ ইন্টারনেট

এদিকে এই ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায়, লাক্সর স্ট্রিটে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে সেটি উলটে দেওয়া হয়। এদিকে রাস্তায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। উত্তেজিত জনতাকে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়। সেখানে স্থানীয় কাউন্সিরকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এদিকে রাতেও হিংসার ঘটনাধ ঘটে সেই এলাকায়। তবে সেই সময় কোনও ইউনিফর্নধারী পুলিশকে সেখানে দেখা যায়নি। যদিও গোটা এলাকার ওপরে হেলিকপ্টারে করে নজরদারি চালানো হচ্ছিল পুলিশের দ্বারা। এদিকে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে ইয়র্কশায়ার পুলিশ। এদিকে ব্রিটেনের হোম সেক্রেটারি ইউভেট কুপাল এই হিংসার নিন্দা জানান কড়া ভাষায়।