Murder case: শিলিগুড়িতে যুবককে পিটিয়ে খুন, ২ দশক পর ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

প্রায় ২ দশক আগে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। এতদিন ধরে মামলা চলার পর অবশেষে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এই খুনের অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক। ঘটনাটি শিলিগুড়ির খড়িবাড়ির। শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের বিচারক শুক্রবার অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন। এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের নাম হল- কুঞ্জ সিংহ, ভারতী সিংহ, বিদেশ সিংহ ও সুনীল সিংহ।

আরও পড়ুন: যুবতী হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন জেল খেটেছে দিল্লির কিশোরী নিগ্রহে অভিযুক্ত কৃষ্ণন

জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের দিকে খড়িবাড়ির বাসিন্দা উত্তম সরকারের জমিতে বর্গা শ্রমিক হিসেবে কাজ করত কুঞ্জ সিংহ ও তার পরিবার। তবে সেই জমিতে উৎপন্ন ফসলের ভাগ উত্তম সরকারকে সঠিকভাবে দিত না কুঞ্জ। সেই কারণে তার কাছ থেকে জমি নিয়ে অন্য কাউকে দিতে চেয়েছিলেন উত্তম বাবু। কিন্তু, জমি ছাড়তে রাজি ছিল না কুঞ্জ ও তার পরিবার। তারা জোর করে জমি দখল করে চাষবাসের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে যাওয়ায় খড়িবাড়ি থানায় কুঞ্জ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্তমবাবু অভিযোগ জানায়। কিন্তু, তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। থানায় অভিযোগ করার পরেও জোর করে উত্তমবাবুর জমি দখল করে কুঞ্জ সিংহ ও তার পরিবারের বাকি সদস্যরা। 

এদিকে, তাদের জমি দখলে বাধা দিলে উত্তমবাবুর ছেলে রূপাতন সরকারকে তারা ‌লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। কিছুক্ষণ পরে তার মৃত্যু হয়। পরে উত্তম সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজন নাবালক সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। 

এরপর দীর্ঘ ১৯ বছর মামলা চলার পর এদিন চার জনের সাজা শোনান ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শরৎ কুমার ছেত্রী।‌মামলা চলাকালীন ২০০৮ সাল‌ থেকে অভিযুক্তরা জামিনে ছিল।‌ ২৫ জন সাক্ষীর সওয়াল জবাবের পর গতকাল তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। ‌৩০২ ধারায় আজ ওই চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করেন বিচারক। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। 

সরকারি আইনজীবী অনিন্দিতা গুহ জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৫ সালে খড়িবাড়ি থানার রানীগঞ্জ পানিশালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।  উত্তম সরকারের জমিতে কুঞ্জ সিংহের পরিবার বর্গা হিসেবে কাজ করত।‌ তারা ঠিক মতো চাষের ফসল পরিবারটিকে না দেওয়ায় তাদের জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু, তারপরেও পরিবারটি সেই জমি দখলের চেষ্টা করে। উত্তম সরকারের পরিবারের বড় ছেলে রুপাতন সরকার বাধা দিতে গেলে তাকে একা পেয়ে গোটা পরিবার হামলা চালায়। তারফলে তার মৃত্যু হয়।