ধর্মঘট শুরু হতেই বাজারে চড়চড় করে বাড়ছে আলুর দাম, আলোচনার রাস্তা খুঁজছে সরকার

সরকার ও আলু ব্যবসায়ীদের টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির দিন সমাগত। সরকার ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় পালটা সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন আলু কারবারিরার। তার জেরে সোমবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না করলে কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন – কারও চাকরি যাবে না, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আশ্বাস মমতার

পড়তে থাকুন – ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা লেখেন নজরুল ইসলাম’, মমতার কথায় উপহাস BJP নেত্রীর- ভিডিয়ো

রাজ্যে আলুর দর নিয়ন্ত্রণে ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে আলুর ট্রাক আটকে দিচ্ছে পুলিশ। এর জেরে নষ্ট হচ্ছে আলু। ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যে ২০ হাজার মেট্রিকটন আলুর প্রয়োজন হয়। শনিবার শেষ হিমঘর থেকে আলু বেরিয়েছিল। সেই আলু সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তার পর কোথাও স্থানীয়ভাবে আলু মজুত থাকলে সেগুলো বিক্রি হবে চড়া দামে। বাজারে ইতিমধ্যে চড়তে শুরু করেছে আলুর দাম। চন্দ্রমুখি আলু অনেক জায়গায় কেজিতে ৪০ টাকা পার করেছে।

ব্যবসায়ীদের তরফে জানানো হয়েছে, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের নামে সরকারি উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে। যখন তখন অভিযানের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। হিমঘরে ঢুকে পড়ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। আলুর দাম গোটা দেশে চাহিদার নিরিখে নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে স্থানীয়ভাবে ব্যবসায়ীদের তেমন কিছু করার থাকে না।

আরও পড়ুন – ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা: BJP

তবে আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে ধর্মঘটে তাদেরই ক্ষতি। কারণ মজুত আলু পরে বাজারে ছাড়তেই হবে। তখন দাম ধাক্কা খাবে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, ‘আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বদ্ধপরিকর। আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলার চেষ্টা চলছে।’