50 Quintal Ilish washed away: উত্তাল সমুদ্রে উলটে গেল মাছ ধরার নৌকা, ভেসে গেল ৫০ কুইন্টাল ইলিশ! ভাঙনের শঙ্কা গঙ্গাসাগরে

মাছ ধরতে গিয়ে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে গভীর সমুদ্রে ডুবে গেল মাছ ভরতি ট্রলার। এছাড়া ইলিশ বোঝাই দু’টি নৌকাও নাকি এই উত্তাল সমুদ্রে উলটে যায়। ঘটনাটি ঘটে বেগুয়াখালির কাছে। এদিকে এই ঘটনায় মৎস্যজীবীরা কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন। জানা গিয়েছে, পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরেই এই অবস্থা হয়। এদিকে এই সব ট্রলার এবং নৌকায় থাকা মৎস্যজীবীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদিকে জলোচ্ছ্বাসের জেরে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম চত্বরে বেশ কয়েকটি রাস্তায় ফাটল দেখা গিয়েছে। এই আবহে গঙ্গাসাগর বাঁধে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তা হলে কপিলমুনির আশ্রমে ক্ষতি হতে পারে বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়, জানুন কলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাস)

জানা গিয়েছে, রবিবার কাকদ্বীপের মৎস্য বন্দর থেকে এফবি মোল্লেশ্বর নামে একটি ট্রলার মৎস্যজীবীদের নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। সেই ট্রলারের নীচের অংশ ফুটো হয়ে যায়। সেই ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে কাছে থাকা অপর একটি ট্রলার। এদিকে সোমবার গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালির কাছে মাছ ধরে ফেরার সময় মাছ ভরতি দু’টি নৌকা উলটে যায়। সেই নৌকাগুলিতে ইলিশ মাছ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল মাছ জলে ভেসে গিয়েছে।

এদিকে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের নদী বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই সেখানে ১ নম্বর রাস্তা থেকে ৫ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার যোগাযোগকারী রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে। পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সমুদ্র উত্তাল হতেই এই পরিস্থিতি। এই আবহে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের সামনে যে সকল অস্থায়ী দোকান রয়েছে সে সকল অস্থায়ী দোকান রয়েছে, সেগুলিকে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই বহু অস্থায়ী দোকান জলে তোরে ভেসে গিয়েছে। এদিকে প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় কোটি কোটি টাকা ব্যয় গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ মেরামতির কাজ হয়। তবে প্রতিবছর বর্ষার কোটালে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ নদী বাঁধে আছড়ে পড়লে ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়। এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানান, পূর্ণিমার ভরা কটালের জেরে নদীবাঁধের বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।