Bangladesh Student Protest Latest Update: ‘এটা এখন যুদ্ধ’, হাসিনার অফিসের ওয়েবসাইট হ্যাক, উঠল ‘স্বাধীনতার’ দাবি

গত সপ্তাহে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে বংলাদেশ জুড়ে হিংসার আগুন ছড়িয়েছিল দাবানলের মতো। এই আবহে শুক্রবার রাত থেকে সেই দেশের সব জেলাতেই জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে এই সবের মাঝেই এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট হ্যাক করল ‘R3SIST3NC3’ নামক একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এই গোষ্ঠী হুমকি বার্তা দিয়ে লিখেছে, ‘এটা আর কোনও আন্দোলন নয়, এট যুদ্ধ’। অপর একটি বার্তায় লেখা, অপারেশন হান্টডাউন, ছাত্রদের মারা বন্ধ করুন। এদিকে সেই হ্যাকার গোষ্ঠী আরও লিখেছে, ‘আমাদের সাহসী ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমানোর জন্য সরকার এবং সরকারের রাজনৈতিক বন্ধুরা নৃশংস সহিংসতা সংগঠিত করেছে। তারা হত্যালীলা চালিয়েছে। এটা আর নিছক প্রতিবাদ নয়; এটি ন্যায়ের জন্য, স্বাধীনতার জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ।’ (আরও পড়ুন: Share Market LIVE: শেয়ার বাজারে লেনদেনের প্রথম কয়েক মিনিটে সেঞ্চুরি পার সেনসেক্স)

আরও পড়ুন: Budget 2024 Live: রেকর্ডের পথে নির্মলা, কোন কোন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়বে বাজেটে?

এদিকে রবিবারই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঐতিহাসিক রায় দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ নয় বরং ৭ শতংশ সংরক্ষণ থাকবে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যে ১ শতাংশ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষ ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্যে ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তবে কোটা আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক জানিয়েছেন, আন্দোলন এখনও জারি থাকবে। গত কয়েকদিনে পুলিশ এবং ব়্যাবের গুলিতে নিহত শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে তদন্ত করতে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ওপর হামলার জেরে সিক্রেট সার্ভিস প্রধানের পদত্যাগ চান ডেমোক্র্যাটরাও!)

(আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ‘শিকারি’, ‘প্রতারক’ আখ্যা; ‘ওঁর টাইপ চেনা আছে’, বললেন কমলা)

এই আবহে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এই হিংসা নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে বিরোধী বিএনপি এবং জামাতকে দোষ দেওয়া হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তার চরমপন্থী সঙ্গী জামায়াত-ই-ইসলামি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা প্রণয়নের জন্য ছাত্রদের বিক্ষোভের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে এমন একটি সম্ভাবনা সবসময়ই ছিল। বাংলাদেশে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছে সেই ২০১৩ সাল থেকেই। এই আবহে এবারে তারা অহিংস ও অরাজনৈতিক কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। গত কয়েকদিনে বিরোধীদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতায় পুরনো আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।’