মাঝরাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে, কেমন আছেন এখন?‌

দু’‌দিন আগে টিভির সামনে বসে একুশে জুলাই দেখেছিলেন। দু’‌চোখ দিয়ে সেদিন জল গড়িয়ে পড়েছিল। আসলে একদা দায়িত্বে থাকতেন। এখন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে থাকতে হচ্ছে। তবে বেশিক্ষণ দেখেননি। শরীর খারাপ লাগায় আবার নিজের সেলে চলে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলে মাসের পর মাস কাটিয়ে এখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মাঝরাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এই নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছে বালুর পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার মাঝরাতে বুকে ব্যথা শুরু হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। আর তা নিয়ে কষ্ট পেতে শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয়। এই অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে খবর। মাঝরাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রী কথা বলতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর। মাঝরাতে জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ খেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার কথা এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তৎক্ষণাৎ নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন:‌ বঞ্চিত বাজেটের বিরুদ্ধে এককাট্টা ‘ইন্ডিয়া’, বিক্ষোভে সামিল রাহুল–ডেরেক–অখিলেশরা

এসএসকেএম হাসপাতালে নিযে আসার পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হাসপাতালের কার্ডিওলজির জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে হৃদরোগ, মেডিসিন–সহ নানা বিভাগের চিকিৎসা করা হয়েছে। এমনকী বেশ কিছু পরীক্ষাও করা হয়। সেই মতো প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেন চিকিৎসকরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর চিকিৎসকরা জানান, ভর্তির প্রয়োজন নেই। তখন বেশি রাতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আবার জেলে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্যান্য বন্দিদের মতো জ্যোতিপ্রিয়কে জেলে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করেন বলে খবর।

এছাড়া ২০২৩ সালে ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। আর তাই রাজ্যের বনমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্সি জেলে চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার তাঁর রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে কমতে শুরু করে। যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় জেল কর্তৃপক্ষ। তাই সময় নষ্ট না করে তাঁকে আইসিসিইউ’‌তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর কিডনি এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে। তা নিয়েই আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি।