দিশাকে ধর্ষণ ও খুন করেন বলে আদিত্য ঠাকরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলতে বলা হয়-মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে, মারাঠা রাজনীতি সরগরম হতে শুরু করেছে। এদিকে, তারই মাঝে দিশা সালিয়ানের মৃত্যু মামলায় একের পর এক বোমা ফাটালেন এনসিপি শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা,  সেই সময়, অনিল দেশমুখকে চাপ দিয়েছিলেন কিছু মিথ্যা হলফনামায় স্বাক্ষর করার। 

ইডি, সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে বাঁচতে, অনিল দেশমুখকে, অজিত পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, অনিল পরবের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামায় স্বাক্ষর করতে চাপ দিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ, বলে অভিযোগের ঝড় তুলেছেন এনিসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা অনিল দেশমুখ। প্রসঙ্গত, যাঁদের নামে মিথ্যা হলফনামায় স্বাক্ষরের জন্য চাপের অভিযোগ উঠছে, তাঁদের মধ্যে থাকা অজিত পাওয়ার বর্তমানে দেবেন্দ্রর মতোই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। শিবসেনার একনাথ গোষ্ঠী, বিজেপি ও এনসিপির অজিত গোষ্ঠীর সরকারে অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, অনিল দেশমুখ একের পর এক ঝোড়ো অভিযোগে কার্যত মারাঠা রাজমীতিতে সুনামি তুলে দিয়েছেন। অনিল দেশমুখ অভিযোগ করেন,’তিন বছর আগে, দেবেন্দ্র ফড়নবীশ আমার কাছে একজন লোক পাঠিয়েছিলেন, তিনি অনুরোধ করেছিলেন যে আমি যেন চারটি হলফনামা খসড়া এবং স্বাক্ষর করি। আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, অজিত পাওয়ার এবং অনিল পরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।’ এখানেই শেষ নয়। এরপর অনিল দেশমুখ বলছেন,’ফড়নবীস কথিতভাবে আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আমি যদি সেই কথা মেনে চলি, তাহলে ইডি এবং সিবিআই আমার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেবে না।’

(‘সিকিউরিটিকে ডাকুন’, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ভরা কোর্টে তুমুল তর্কাতর্কি আইনজীবীর, শেষে কী হল? )

এরপর তিনি দিশা সালিয়ানের মৃত্যু তদন্তের প্রসঙ্গ তুলে আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, এই দিশা সালিয়ান ছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার। দিশার মৃত্যুতেও বেশ কিছুটা রহস্য বাড়ে, শুরু হয় তদন্ত। তাঁর মৃত্যুর পর বারবার শিন্ড-ফড়নবীশের তৎকালীন সরকার, আদিত্য ঠাকরের ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য সরব হয়েছিল। এরপর সেই মামলা নিয়ে মুখ খুলে অনিল দেশমুখ বলেন,’ আমাকে মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলেছিলাম যে আমি তা করব না, যদি এর জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতেও হয়, তাহলেও করব না। আমার সেই প্রস্তাব খারিজের জন্য ইডি এবং সিবিআই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছে।’ অনিল দেশমুখ বলেন,’আমাকে বিশেষভাবে একটি মিথ্যা হলফনামা দিতে বলা হয়েছিল যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে আদিত্য ঠাকরে দিশা সালিয়ানকে ধর্ষণ করেছিলেন এবং তাঁকে একটি বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।’ উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে, শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা। বংশগত দিক দেখলে, তিনি শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বালা সাহেব ঠাকরের নাতি।