নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়ম ভেঙে মমতাকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল

নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে শনিবার দিল্লিতে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবি খারিজ করে পালটা তথ্য তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়ত। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে তাঁকে আগে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। নিজের জন্য বরাদ্দ পুরো সময় বক্তব্য রেখে বাইরে এসে মিথ্যা অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন – শিলমোহর কেন্দ্রের তত্ত্বেই? কলকাতায় ফিরে মমতার মুখ থেকে গায়েব ‘মাইক’

পড়তে থাকুন – রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগ বিধানসভায় ধরনায় বসবেন শংকর ঘোষ

 

এদিন গজেন্দ্র সিংহ শোখাওয়ত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। ওই বৈঠকে প্রত্যেক রাজ্য ইংরাজি বর্ণানুক্রমিক সূচি অনুসারে বলার সুযোগ পায়। পশ্চিমবঙ্গের নাম যেহেতু ইংরাজিতে W দিয়ে শুরু হয় তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবার শেষে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু উনি অনুরোধ করেন যে আমাকে ফিরতে হবে তাই আগে বলতে দেওয়া হোক। তিনি এই অনুরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সপ্তম বক্তা হিসাবে সঙ্গে সঙ্গে বলার অনুমতি দেওয়া হয়। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের জন্য বরাদ্দ সময়ের পুরো সদ্ব্যবহার করেছেন। তার পরেও নিয়ম মেনে সময় শেষ হলে যে বেল বাজে তা বাজানো হয়নি। নিজের বক্তব্য শেষ করে উনি দাঁড়িয়ে পড়েন। তার পর উনি বেরিয়ে যান। বাইরে গিয়ে উনি এই ধরণের দোষারোপ করার চেষ্টা করেন।’

আরও পড়ুন – বৈঠক থেকে পালাতে মাইককে শিখণ্ডি করছেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা সীতারামনের

মমতাকে ভর্ৎসনা করে গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়ত বলেন, ‘কোনও সাংবিধানিক পদে থেকে এত বড় মিথ্যে বলে দেশে কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় এভাবে নিজের রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে শোরগোল ফেলে দেওয়া ৭৫ বছর পুরনো ভারতের গণতন্ত্রে শুধু অনুচিত নয়, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।’