Private bus: করোনায় বসে যাওয়া বাসের ১৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়া নিয়ে নিয়ম শিথিলে নারাজ রাজ্য, আদালতে যাবে মালিকরা

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়ি বা বাস চালানো যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই আগামী ১ অগস্ট থেকে বাতিল হতে চলেছে কয়েক হাজার পুরনো বাস। তবে করোনাকালে বিধিনিষেধ থাকার ফলে প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল বেসরকারি বাস। এই অবস্থায় আরও দু’বছর এই সমস্ত বাসের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবহণ দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বাস মালিকরা। কিন্তু, পরিবহণ দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যেহেতু আদালতের নির্দেশ রয়েছে তাই কোনওভাবেই বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি তাদের পক্ষ থেকে মানা সম্ভব নয়। তাই এবার এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।

আরও পড়ুন: বসে যেতে চলেছে বহু বাস, পিপিপি মডেলে চালানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি মালিকদের

জানা গিয়েছে, জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘গণপরিবহণ বাঁচাও কমিটি’। এই কমিটির তরফে এই সমস্ত বাসের মেয়াদ আরও দুবছর বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এই সমস্ত বাস করোনার সময় দুবছর বসে গিয়েছিল তাই আরও দুবছর বাসের মেয়াদ বাড়ানো হোক। কারণ মোটা টাকা দিয়ে বাস কিনে রাস্তায় নামানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, তাছাড়াও দুবছর বাস না চলায় তারা আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। অনেক বাস মালিকরা যদি তাদের ১৫ বছরের পুরানো যানবাহন বাতিল হয়ে যায় তবে তারা সংকটে পড়বেন। কারণ তাদের কাছে নতুন বি এস ৬ ইঞ্জিনের বাস কেনার ক্ষমতা নেই।  এই বাসগুলির দাম ২৩ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। তাই তাদের অতিরিক্ত দুবছর সময় দেওয়া হোক।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে ১৫ বছরের পুরনো বাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনগুলিকে শহরের রাস্তা থেকে তুলে নিতে হবে। কারণ এরফলে প্রচুর দূষণ ছড়াচ্ছে। সেই হিসেবে যে সমস্ত বাসগুলি ২০০৯ বা ২০১০ সালে রাস্তায় নেমেছিল সেগুলি ২০২৪ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে তুলে নিতে হবে। প্রসঙ্গত, কলকাতা এবং পার্শ্ববতী এলাকায় চলা ৩২ হাজার বেসরকারি বাসের মধ্যে ৯০ শতাংশ বাস আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে বসে যাবে। যদিও পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কলকাতায় অগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৭ টি বেসরকারি বাস বাতিল হয়ে যাবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সংগঠনটি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।