TMC vandalism: কালনায় তৃণমূল নেতার গুন্ডাগিরি, ঘরে ঢুকে মহিলাসহ গোটা পরিবারকে মারধরের অভিযোগ

ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল তৃণমূল নেতার গুন্ডামির ভিডিয়ো। এবার কাটোয়ার তৃণমূল নেতা গোপাল তিওয়ারির গুন্ডাগিরি দেখল জনতা। অভিযোগ, পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করেন তিনি। রেহাই পাননি মহিলার পরিবারের সদস্যরাও।

আরও পড়ুন – দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগের নামে দুর্নীতির নগ্ন নৃত্য, দাবি CBIএর চার্জশিটে

পড়তে থাকুন – রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা বঞ্চনা ও অসৌজন্যের অভিযোগ বিধানসভায় ধরনায় বসবেন শংকর ঘোষ

 

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে কালনা শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারি এক মহিলাকে বেধড়ক মারতে মারতে ঘর থেকে বার করে নিয়ে আসছেন। আসে পাশে থাকা পুরুষদেরও মারধর করছেন তিনি। পালটা সেই ব্যক্তিরাও হাত চালাচ্ছেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হলে শোরগোল পড়েছে শহরজুড়ে।

জানা গিয়েছে, কালনা শহরের দেবনাথপাড়ায় একটি জমিতে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোপাল তিওয়ারির সঙ্গে ওই পরিবারের বিবাদ চলছিল। সেজন্য দলবল নিয়ে সেই বাড়িতে যান গোপালবাবু। সেখানে পাঁচিল দিতে বাধা দেওয়ায় নারী – পুরুষ নির্বিশেষে মারধর করেন তিনি। গোপালবাবুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারটি।

পালটা গোপালবাবুর দাবি, তাঁকে একটি জমিতে পাঁচিল দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছে ওই পরিবারের সদস্যরা। তা নিয়ে কথা বলতে গেলে পরিবারের লোকেরা তাঁকে ডেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন পরিবারের সদস্যরা। হামলার হাত থেকে বাঁচতে পালটা হাত চালাতে থাকেন তিনি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনা হচ্ছে। মারধরের জেরা তাঁর আঙুলে চোট লেগেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, ‘তৃণমূল মানেই মার ধর গুন্ডাগিরি। গুন্ডারাই তো দলটাকে কন্ট্রোল করে। এরা নারী – পুরুষ কিচ্ছু মানে না। মানুষের সম্পদ ছিনিয়ে নিতে সব করতে পারে এরা। দলের ওপরতলা থেকে এদের ছাড় দিয়ে রেখেছে।’

আরও পড়ুন – মহিলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ কেন নয়? কী বলল হাইকোর্ট

কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘মারামারি একটা হয়েছে। শুনলাম গোপাল জমিটা কিনেছে। কিন্তু সেখানে পাঁচিল দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাঁচিল দিলে বারবার ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কী ঘটেছে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’