বিপদে মোদীর পাশে থাকতে দিল্লি গিয়েছেন মমতা, একযোগে আক্রমণ বাম ও কংগ্রেসের

কয়েকদিন জল মাপার পর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তকে একযোগে আক্রমণ করল ইন্ডি জোটের ২ শরিক কংগ্রেস ও সিপিএম। ওদিকে বৈঠকে মমতাকে স্বাগত জানালেও ইন্ডি জোটের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপি।

আরও পড়ুন – ভয়ে পুরো ঘামছিল! ল্যাপটপ চোর সন্দেহে ছাত্রকে হেনস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে

পড়তে থাকুন – দুর্গাপুজোর পর খুলে যেতে পারে হলং বনবাংলো, বিধানসভায় নতুন তথ্য দিলেন মন্ত্রী

 

শুক্রবার মমতার দিল্লি যাত্রা নিয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘উনি দেখাতে চাইছেন উনি কত বিরোধিতা করছেন। সারা দেশের বিরোধীশাসিত মুখ্যমন্ত্রীরা নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করেছে। সেই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হাজির হচ্ছেন। আসলে কিছুই নয়, বাংলাকে বঞ্চনা করছেন। বাংলার সঙ্গে বিজেপি কথা রাখেনি। কিন্তু বিজেপির কথা রাখতে যাচ্ছেন। ইন্ডিয়া ব্লকের কোনও মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন না। উনি এই বার্তা দিতে যাচ্ছেন যে বিপদের সময় আমরা আপনার পাশে আছি। বিরোধিতা যতই মুখে করি সমর্থনে থাকব।’

প্রায় একই সুরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাব, এই দোলাচলে মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই থাকেন। গেলে কী লাভ, না গেলে কী লাভ। এটা রাজ্যের লাভের ব্যাপার নয়। ওনার কোথায় রাজনৈতিকভাবে কতটা পোষাবে তার ওপর নির্ভর করে। উনি আজকে বলছেন যে বাংলা ভাগের ব্যাপারে প্রতিবাদ উনি জানাবেন। উনি যখন যাবেন বলেছিলেন তখন তো বাংলা ভাগের প্রসঙ্গই ওঠেনি। উনি যাবেন কি যাবেন না সেটা ওর ব্যাপার। বাকিরা বাজেট বঞ্চনার প্রতিবাদ করার জন্য বয়কট করছেন। উনি প্রতিবাদ করার জন্য অংশ নিচ্ছেন। উনি যাবেন সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন একটু জল মাপছিলেন। এখন বুঝেছেন যে এই সময়ে মোদীজির পাশে থাকা ভালো।’

আরও পড়ুন – মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় ১১ কোটি দিতে হবে, দাবি করলেন রাজ্যপাল

ইন্ডি জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটটা কবে ছিল? একটা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেনি তারা। একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে বিভিন্ন রাজ্যে। নির্বাচনের পরেও সেই জোটে কোনও একতা নেই। সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীরা যোগ দিলে জোটের প্রাসঙ্গিকতা থাকত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত যোগ দেন না, হয়তো এবার শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। এভাবে কেন্দ্র বিরোধিতার পথ কেউ বেছে নিলে বঞ্চিত হয় রাজ্যের মানুষ।’