কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত ৪ সাংবাদিক, জখম দুই শতাধিক

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। এসব ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২২২ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী। এরমধ্যে গুরুতর অবস্থা অন্তত ৬৫ জনের। আহত সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

নিহত যারা

কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকায় নিহত হন সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও তৌহিদ জামান প্রিয়, সিলেটে এ টি এম তুরাব ও গাজীপুরে মো. শাকিল হোসেন।

হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় হাসান মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক এ টি এম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

গুলিবিদ্ধ ও আহত যারা

ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন বা সংঘাতের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন।  

আমাদের সময়

কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ৯ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতরা হলেন চিফ রিপোর্টার শাহজাহান আকন্দ শুভ, ফটোসাংবাদিক মনজুরুল বাবু, মো. মেহরাজ ও আলামিন লিওন, স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ কাফি ও রেজাউল রেজা এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান।

পত্রিকাটির চিফ শাহজাহান আকন শুভ বলেন, আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ১৯ জুলাই কাকরাইল ও আজিমপুর এলাকায় আমার ওপর হামলা করা হয়। আমি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলাম। এসময় আন্দালনকারীরা আমাকে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ভেবে হামলা করে। হামলায় আমাদের ফটোসাংবাদিক মনজুরুল বাবুর হাত ভেঙে গেছে, মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার তিনজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাজিদ হোসেন, দীপু মালাকার ও খালেদ সরকার। তারা তিন জনই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

কালের কন্ঠ

কালের কন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক ছয় জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মনজুরুল করিম, ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান, শেখ হাসান ও মোহাম্মদ আসাদ। এছাড়াও পত্রিকাটির আরও দুই জন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আহত হয়েছেন। তারা হলেন আল আমিন ও মাহাদী হাসান।

মরজুরুল করিম ২০ জুলাই (শনিবার) যাত্রবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। তার ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনের বাংলাদেশ

দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু, ক্রাইম চিফ আলাউদ্দিন আরিফ ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আকাশ। আলাউদ্দিন আরিফ জানান, ১৯ জুলাই মালিবাগ আবুল হোটেল এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে ছররা গুলি লাগে।

ঢাকা ট্রিবিউন

ইংরেজি পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আহাদুল করিম খান ও রাজিব কুমার ধর।

সমকাল

সমকাল পত্রিকার দুই জন ফটো জার্নালিস্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন ও মামুনুর রশীদ।

ডেইলি স্টার

দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র ফটোজার্নালিস্ট প্রবীর দাস ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবির আহত হন ঢাকায়। এছাড়া ডেইল স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দোহা চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র সাংবাদিক রোহেত রাজীব ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় মাসুদ রানা (সংবাদকর্মী) হামলার শিকার হন। তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও পত্রিকাটির সংবাদপত্র বহনকারী তিনটি গাড়ি রায়েরবাগ এলাকায় পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

মানবজমিন

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ২০ জুলাই রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়। তার শরীরে ছয়টি ছররা গুলি লাগে।

দেশ রূপান্তর

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার চার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মহুবার রহমান ও মোশারফ হোসেন ভুবন, স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল হাসান সাগর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সুপন সিকদার।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি।

সময়ের আলো

দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ছয় জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটো সাংবাদিক আব্দুল হালিম, আবদুল্লাহ আল মমীন ও শেখ ফেরদৌস, সাহিত্য সম্পাদক আলী রেজা চৌধুরী এবং অনলাইন ভার্সনের সাংবাদিক হুমায়ন ও আল ইমরান।

খবরের কাগজ

দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার দুই জন আহত হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মাসুদ মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৯ জুলাই। এদিন দুপুরে পল্টনে তার শরীরের ছররা গুলি লাগে। এছাড়াও এই পত্রিকার রিপোর্টার মেহেদী হাসান খাজা আহত হয়েছেন বলে তার দাবি।

দৈনিক সংবাদ

দৈনিক সংবাদ পত্রিকার চার জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান ফটো সাংবাদিক সোহরাব আলম, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) মাসুদ রানা ও স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যায়যায়দিন

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার দুইজন রিপোর্টার হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাহিদ হাসান। দুর্বৃত্তদের হামলার তাদের হাতে ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।

জনকন্ঠ

জনকন্ঠ পত্রিকার চার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছে। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক সুমন্দ চক্রবর্তী ও জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার ফজলুর রহমান ও ঢাবি প্রতিনিধি মোজাহার।

ভোরের কাগজ

ভোরের কাগজ পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটো সাংবাদিক মামুন আবেদীন ও সংবাদকর্মী রাজিবুল মানিক।

আলোকিত বাংলাদেশ

আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন- ফটো সাংবাদিক মো. আক্তার হোসেন ও সংবাদকর্মী আরিফ।

দৈনিক যুগান্তর

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহিদা হাসান ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন। আপরজন নারায়গঞ্জ ফতুল্লাহ প্রতিনিধি আল আমিন প্রধান, তিনি ১৯ জুলাই গুরুতর আহত হয়েছেন। 

কালবেলা

দৈনিক কালবেলা পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার রনি রায়হান ও লিড মোজো (মোবাইল জার্নালিজম) রিপোর্টার আকরাম হোসেন।

ডেইলি সান

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক রিয়াজ আহম্মেদ সুমন ও সংবাদকর্মী সায়েদ হাসান শুভ। 

বণিক বার্তা

দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মাসফিকুর আক্তার ও কাজী সালাহউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহদী মামুন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

দৈনিক ইংরেজি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চার জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার রোকুনুজ্জামান মনি, ফটোসাংবাদিক রাজিব ধর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মো. কাজল সিকদার।

আজকের পত্রিকা

আজকের পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটো সাংবাদিক ফজলে এলাহী ওমর ও অন্যজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

বাংলাবাজার

বাংলাবাজার পত্রিকার একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন ফটোসাংবাদিক এম খোকন সিকদার।

আজকের দৈনিক

আজকের দৈনিক পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন নূর হোসেন পিপুল।

দি ডেইলি অবজারভার

দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকার ফটোসাংবাদিক খন্দকার আজিজুর রহমান আহত হয়েছেন।

মানব কণ্ঠ

দৈনিক মানব কণ্ঠ পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. জুবায়ের আলম খাঁন। 

দৈনিক জনতা

দৈনিক জনতা পত্রিকার একজন ফটো সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. আব্দুল হালিম।

দৈনিক ইনকিলাব

দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার একজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি হলেন এস এ মাসুম।

দৈনিক নয়াদিগন্ত

দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এস এম আব্দুল্লাহ পারভেজ আল বাপ্পী আহত হয়েছেন।

অর্থনীতি প্রতিদিন

অর্থনীতি প্রতিদিন পত্রিকার একজন ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. মাসুদ পারভেজ মিলন।

অনলাইন সংবাদ মাধ্যম

বাংলা ট্রিবিউন

বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকার পাঁচ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার আরমান ভূঁইয়া, আসাদ আবেদীন জয়, আতিক হাসান শুভ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এসএম তাওহীদ। এর মধ্যে দুই গুরুতর আহত একজন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১৮ জুলাই সাইন্সল্যাব এলাকায় ছবি তোলার সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

আরমান ভূঁইয়া কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তেজগাঁও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

বিডিনিউজ ২৪ ডট কম

বিডিনিউজ২৪ ডট কম পত্রিকার দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মো. মাহমুদ জামান অভি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ জামান আহত হন।

বাংলা নিউজ২৪ ডট কম

বাংলানিউজ২৪ ডট কম পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। তারা হলেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেট জি এম মুজিবুর রহমান, স্টাফ ফটো করোসপন্ডেট শাকিল আহমেদ ও স্টাফ করোসপন্ডেট ইফফাত শরীফ।

সারাবাংলা

সারা বাংলা পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটো সাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও মো. সুমিত আহমেদ সোহেল।

বার্তা২৪ ডট কম

অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বার্তা২৪ ডট কম পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার খন্দকার আরিফুজ্জামান ও রাজু আহমেদ।

পত্রিকাটির চিফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন চলাকালে রামপুরা এলাকায় রিপোর্টার খন্দকার আসিফুর জামান হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে তিনদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সকালসন্ধ্যা

সকালসন্ধ্যা পত্রিকার তিন জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন ফটোসাংবাদিক মো. হারুণ অর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার মেনিরা মিতু ও সংবাদকর্মী কল্লল কর্মকার।

ব্রেকিং নিউজ

ব্রেকিং নিউজ পত্রিকার একজন ফটো সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. সালেকুজ্জামান চৌধুরী।

এফএনএস

নিউজ এজেন্সি এফএনএস-এর সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সালাউদ্দিন আহমেদ শামীম হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।  

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর ধানমন্ডি-মিরপুর রোডে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে অনেক, তবে সঠিক হিসাব নেই কারও কাছে (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

টেলিভিশন

ডিবিসি

ডিবিসি টেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মাসুদুর রহমান, জাকারিয়া আহমেদ ও মোস্তফা মাহবুব, স্টাফ রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম মোহন ও মোহাইমিনুল খান অপু, ক্যামেরাপারসন আলী ইমাম, কাজী জাহিদ আহমেদ, মর্তুজা নাসির, মাহমুদ আলী বাবুল ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এরমধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।

সিনিয়র রিপোর্টার মাসুদুর রহমান বলেন, ১৯ জুলাই পল্টন এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তার শরীরে বেশ কয়েকটি ছররা গুলি লাগে। এখনও তার মাথা ও কপালে দুটি গুলি রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সময়ে পুলিশ, দলীয় কর্মী কিংবা আন্দোলনকারী সবাই সাংবাদিকদের শত্রু ভাবে। আসলে সাংবাদিকরা তো কারও শত্রু না। সাংবাদিকরা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। আমরা গণমানুষের কথা বলি। 

চ্যানেল আই

চ্যানেল আই টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট সাকের আদনান ও স্টাফ করেসপন্ডেট শহিদুল্লাহ রাজু।

নাগরিক টেলিভিশন

নাগরিক টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বি ও ভিডিও এডিটর রাজু হানিফ হামলায় আহত হয়েছেন। নাগরিক টেলিভিশনের সিইও দীপ আজাদ বলেন, কোটা আন্দোলনে দুর্বত্তদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের টেলিভিশনের একটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বাংলাভিশন

বাংলাভিশন টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মামুন আব্দুল্লাহ ও ফররুখ বাবু এবং ক্যামেরাপার্সন লিটন খান। এছাড়া একটি গাড়ি, ক্যামেরা ও বুম ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এখন টেলিভিশন

এখন টিভির দুইজন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন রিপোর্টার মাজহার ইমন ও ক্যামেরাপারসন তানিম আহমেদ।

এনটিভি

এনটিভির ৮ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ করোসপন্ডেট জুনায়েদ আল হাবিব, কাইকোবাদ মাহমুদ, নাজিবুর রহমান, মেজবাহ হাসান ও শফি মাহমুদ, সিনিয়র ক্যামেরাপারসন সাব্বির হোসেন মার্শাল, ক্যামেরাপারসন আলগীর হোসেন ও হেলাল আহমেদ সজীব। 

এনটিভির চিফ অব করেসপন্ডেটস সফিক শাহীন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আমাদের কয়েকটি ক্যামেরা ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বৈশাখী

বৈশাখী টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদুর রহমান, ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান ও গাড়িচালক মো. সুজন মিয়া। এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়ি পোড়ানো ও দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

৭১ টিভি

৭১ টেলিভিশনের ৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৬ জনই গুলিবিদ্ধ। গুলিবিদ্ধরা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও প্ল্যানিং এডিটর মিল্টন আনোয়ার, সিনিয়র করোসপন্ডেন্ট মুফতি পারভেজ নাদির রেজা, ক্যামেরাপারসন রাসেদুল হাসান, মো. আহমুদুল ও আবুল কাউসার ওলিমুদ্দীন আহমেদ। হামলার শিকার হয়েছে ক্যামেরাপার্সন বিসাদ হাসান।

নাদিয়া শারমিন বলেন, হামলা-মামলা বা গুলি করে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম বন্ধ করা যায় না।

এশিয়ান টিভি

এশিয়ার টেলিভিশনের ৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- চিফ রিপোর্টার হালিমা আক্তার লাবণ্য ও রাতেন বিপ্লব, স্টাফ রিপোর্টার নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও এনাম মন্ডল, চিফ ক্যামেরাপারসন শহিদুল হক জীবন, সিনিয়র ক্যামেরাপারসন লতিফ চৌধুরী ও ক্যামেরাপারসন আদিব হোসেন। এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়ি পোড়ানো ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

এটিএন বাংলা

এটিএন বাংলা টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের ছররা গুলি লেগেছে। তিনি হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন শফিউর রহমান প্রধান। এছাড়াও টেলিভিশনটির তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

নিউজ২৪

নিউজ২৪ টেলিভিশনের ১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মাসুদ সুমন (তার চোখে অস্ত্রপাচার করা হয়েছে), ক্যামেরাপার্সন মোফাজ্জাল হোসেন বাবলু, সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন ও তার ক্যামেরাপারসন এমদাত, রংপুর প্রতিনিধি মমিন ও তার ক্যামেরাপার্সন ডেমি। এছাড়াও হামলা শিকার হয়েছেন- সিনিয়র রিপোর্টার নাঈম আল জীকু, স্টাফ রিপোর্টারমাসুদা লাবণী ও জুবায়ের সানি এবং ক্যামেরাপার্সন আরফিন হোসেন, মো. মুরাদ ও আবদুস সালাম রিপন।

মোহনা টিভি

মোহনা টেলিভিশনে তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার কাজী ইনসাহ বিন দিদার ও হুমায়ুন কবীর। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন সিনিয়র ক্যামেরাপারসন কবীর হোসেন খান।

দেশ টিভি

দেশ টেলিভিশনের দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল মোহনা ও ক্যামেরাপার্সন আব্দুল খালেক।

এসএ টিভি

এসএ টেলিভিশনের পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ (সোহান খান), রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন ও রিফাত আলম শিশির এবং ক্যামেরাপারসন মো. হারুন ও ইব্রাহিম খলিল। এরমধ্যে সোহান খান ১৮ জুলাই বাড্ডা এলাকায় গুরুতর আহত হন, তার বাম হাত ভেঙে গেছে। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের সরকারের দালাল বলে গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে।

একুশে টিভি

একুশে টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান, ক্যামেরাপার্সন ওয়াসিম খান ও গাড়িচালক সোহেল। এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়ি ও একটি ক্যামেরা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি টেলিভিশন

ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার অনির্বান, ইজাজুর রহমান, নাজমুল সাঈদ, আল আমিন হক অহন ও নূর-এ-আলম, স্টাফ রিপোর্টার খালেদ রায়হান, মো. ওমর ফারুখ, ইকরামুল হক, আল আমিন হোসেন ও মাহমুদুল হাসান (পারভেজ)। এর মধ্যে চার জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

আরটিভি

আরটিভির ৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- রিপোর্টার ইয়াসমিন আক্তার, তাইমুন রায়হান, দীপ্ত চন্দ্র পাল এবং ক্যামেরাপার্সন স্বপন দেওয়ান, মেহেদী হাসান সুজন ও আলাউদ্দিন। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যমুনা টিভি

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, ক্যামেরাপার্সন মিজানুর তপু ও বগুরা ব্যুরো চীফ মেহেরুল সুজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রিপোর্টার দুইজন গুরুতর আহত। এছাড়াও যমুনা টিভির ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

সময় টিভি

সময় টেলিভিশনের ৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার তোহা খান তামিম, রিপোর্টার তানভীর হাসান মেঘ, ক্যামেরাপার্সন রতন চন্দ্র মজুমদার, নিজামউদ্দিন আরফিন প্রিন্স, সুমন সরকার ও সালাউদ্দিন মামুন এবং রংপুর প্রতিনিধি (রিপোর্টার) রেজওয়ান হিমেল ও ক্যামেরাপার্সন তরিকুল ইসলাম। এরমধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কর্মরত তিনজন বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বেনার নিউজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জীবন আহমেদ ও শরিফ সিয়াম ইয়ন। এছাড়াও জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলে পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ স্বপন আহত হয়েছেন।

ঢাকার বাইরে

নারায়ণগঞ্জ

নারায়গঞ্জে ছয় সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোবাশ্বির শ্রাবণ গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হয়েছেন দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সোনালী আক্তার, দৈনিক সচেতন পত্রিকার অনলাইন বার্তা সম্পাদক ফাহমিদা এমি ও স্টাফ রিপোর্টার নিশি আক্তার, দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার জেলার ফটো সাংবাদিক মো. সবুজ মিয়া এবং একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন রবিউল ইসলাম।

সাভার

সাভারে চার সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্থানীয় পত্রিকা পাক্ষিক নিউজ গার্ডেনের সম্পাদক ওমর ফারুক (গুলিবিদ্ধ হয়েছেন), এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদুর রহমানর ও ক্যামেরাপারসন জাহেদ আনসারি এবং নিউজ২৪ এর সাভার প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপারসন এমদাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন- প্রথম আলোর প্রতিনিধি মামুন, যুগান্তরের প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমান, বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি আব্দুর রহমান খান সার্জিল, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি এস এম তাওহীদ, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ওয়াজহাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ টুডে’র প্রতিনিধি জোবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোর প্রতিনিধি মুশফিকুর রিজওয়ান, সাউথ এশিয়ান টাইমসের প্রতিনিধি সাকিব আহমেদ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দায় চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা মানুষের তথ্য অধিকার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে। এর আগেও বাংলাদেশে অনেক বড় বড় আন্দোলন হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনেও সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। তবে এবার আমরা দেখেছি সাংবাদিকদের কোণঠাসা করতে সবাই মরিয়া ছিল। সরকারি সংস্থার সদস্যদের থেকে শুরু করে জনসাধারণও সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করেছে। এর কারণ কিছু সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা এবং রাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নীতিকাঠামোর দুর্বলতা। এসব কারণে সাংবাদিকতার মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও শিশুসহ ২১০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে রবিবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১৪৭ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া। সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি।

এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪২ জন, ১৯ জুলাই ৮৫ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১ জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন, ২৫ জুলাই ৫ জন ও ২৬ জুলাই ১ ও ২৭ জুলাই ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে আজ পর্যন্ত সব মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।