Dengue in Kolkata: দক্ষিণ কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি, এক সপ্তাহেই আক্রান্ত ৩৮, উদ্বিগ্ন পুরসভা

বর্ষা শুরু হতেই হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকটি কলকাতার বোরোই জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গতবারকে ছাপিয়ে গিয়েছে। শুধু এক সপ্তাহেই নতুন করে ৩৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ১০ নম্বর বোরোতে। তবে শুধু ডেঙ্গিই নয়, এর পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও গত বছরের মতোই দেখা দিয়েছে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গি, তালিকার প্রথম পাঁচে নাম রয়েছে কলকাতার

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ১০ বোরোতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। গত বছর অবশ্য এই সময়ের মধ্যে সংখ্যাটি ছিল ৩৯। শুধুমাত্র ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডেই এবার ৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা গত বছর ছিল না। গত বছর ৫ নম্বর বোরোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন জন। সেই জায়গায় এবার তা পাঁচগুণ বেড়ে হয়েছে ১৫ জন। এছাড়া, ৯ নম্বর বোরোতে ১৪ জন, ১১ নম্বর বোরোতে ১৫ জন, ১৬ এবং ১৪ নম্বর বোরোতে যথাক্রমে ১৬ এবং ১২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন যা গতবারের থেকে বেশি।

এই অবস্থায় ডেঙ্গি পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছে পুরসভা। সূত্রের খবর, কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গি ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবেলায় আগামী ৮ অগস্ট কলকাতা পুরভবনে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ সংস্থার প্রতিনিধিদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, শনিবারই মেয়র বলেছিলেন, এবার বর্ষা দেরিতে এসেছে। ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। পুরসভার তরফে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতায় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মেয়র জানান, মূলত ফাঁকা জমি এবং পুরনো বাড়ির কারণে এলাকায় ডেঙ্গি বাড়ছে। মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তবে ডেঙ্গি সংখ্যা কমানো যাবে না। 

পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবার গতবারের মতো বড়বাজার, পোস্তা, ডালহৌসি, ধর্মতলা, পার্ক সার্কাস এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এনিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গি,  ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কম বলে মেয়র দাবি করছেন। তবে শুধুমাত্র জুলাই মাসেই কয়েকটি বোরোতে গত বছরের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই আগামী চার মাস সতর্ক থাকতে হবে।