International Tiger Day: ঠিক কী কারণে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস? কী গুরুত্ব এই দিনটির

বনের রাজা সিংহ হলেও পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় পশু কিন্তু বাঘ। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার থেকে শুরু করে সাইবেরিয়ান বাঘের নাম বিশ্ব বিখ্যাত। বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন রঙের বাঘ দেখতে পাওয়া যায় সারা বিশ্ব জুড়ে। এই বাঘের অস্তিত্ব আজ সংকটে। বাঘের সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব বাঘ দিবস।

কেন পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস? 

সারা বিশ্বজুড়ে বাঘের বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা দিনের পর দিন কমেই চলেছে। বহু জাতির বাঘ আজ লুপ্ত প্রায়। বিভিন্ন প্রজাতির বাঘকে অস্তিত্ব সঙ্কট থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেই পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমেই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস।

কবে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস? 
 

২৯ জুলাই সারা বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালন করা হয়। চলতি বছর এই দিনটি সোমবার পালন করা হবে।

(আরও পড়ুন: কবে পালন করা হয় জাতীয় বাবা-মা দিবস? কেনই বা পালন করা হয় এই দিন)

আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের ইতিহাস 

 

১৯৭৩ সালে বাঘের সংখ্যা পুনর্জীবিত করার জন্য প্রথম প্রকল্প টাইগার চালু করা হয় ভারতে। ২০১০ সালে ১৩ টি দেশ, যেখানে বিরল প্রজাতির বাঘ পাওয়া যায়, সেই সমস্ত দেশের বাঘের সংখ্যাকে ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়। ২০১৭ সালে IUCN মহাদেশীয় বাঘ এবং সুন্দরবন দ্বীপের বাঘকে বাঘের উপর প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০২৪ সালে WWF বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রাখে।

২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের থিম 

 

২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের কোনও থিম নেই।

বাঘ দিবস পালন করা তাৎপর্য? 

 

বাঘ এমন একটি প্রাণী যে তৃণভূমি, তুষারময় বন, ম্যানগ্রোভ জলাভূমি সহ বিভিন্ন জায়গায় অবাধে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এত কঠিন অভিযোজন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ২০ শতকের শুরু থেকে বাঘের সংখ্যা প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি কমে গেছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ অনুসারে, সারা বিশ্বে বাঘের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ৩,৯০০, যা সত্যি উদ্বেগের বিষয়।

(আরও পড়ুন: রান্নাঘর থেকে সোজা খাবার পরিবেশন করছে রোবট ‘অনন্যা’, হোটেলের ভিডিয়ো ভাইরাল)

বাঘ অন্য প্রাণীদের স্বীকার করে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু যেভাবে বিপুল পরিমাণে বাঘের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বন্য অঞ্চলের চোরাশিকারী এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের উৎপাতে বাঘের প্রাণ আজ বিপন্ন। এই সংকট থেকে বাঘকে রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই দিনটি পালন করা হয়।