Manu Bhaker: টোকিওর হতাশা ভুলেই প্যারিসে সাফল্য, মনুকে নিজে ফোন করে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

<p style="text-align: justify;"><strong>প্যারিস:</strong> টোকিওতে তাঁর পিস্তলে সমস্যা হয়েছিল। এতটাই হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন যে খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ফেল লড়াই শুরু করেন। প্য়ারিসে কেরিয়ারের দ্বিতীয় অলিম্পিক্সে নামার আগে থেকেই পদক জয়ের দাবিদার ছিলেন। শ্যুটিংয়ে তিনি পদক আনবেন, এই আশা ছিলই। কারও আশাভঙ্গ করলেন না মনু ভাকের। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতের হয়ে প্রথম পদক জিতলেন তিনিই। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতলেন। অলিম্পিক্স পদক জয়ের পরই সবচেয়ে স্পেশাল যে ফোনটা তিনি পেয়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। নিজের বাসভবন থেকে মনুকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ”মনু আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই সাফল্যের জন্য।” মনু প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়েই বলে ওঠেন, ”স্যার আপনি কেমন আছেন?”</p>
<p style="text-align: justify;">টোকিওতে পিস্তল সমস্যার জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে অলিম্পিক্সের মঞ্চে নেমেই এমন ধাক্কা সামলে উঠেছিলেন অনেক কষ্টে। সেই বিষয় সম্পর্কে খুব ভাল মতই জানেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”আপনি ০.১ পয়েন্টের জন্য রুপো মিস করলেও দেশকে গর্বিত করছেন। ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে শ্য়ুটিংয়ে আপনি পদক এনেছেন। আমার তরফে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। মনে পড়ে, টোকিও অলিম্পিকে বন্দুক আপনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। কিন্তু এ বার আপনি সব প্রতিকূলতা ছাপিয়ে সাফল্য পেয়েছেন।”</p>
<p style="text-align: justify;">মনু প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, ”স্যার, সবাই আপনাকে নমস্কার জানিয়েছে। সবাই এখানে খুশি। আরও ভাল পারফর্ম করার চেষ্টা করব আমি।” সেই উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”আপনার উপর ভরসা রয়েছে। আমিও আশাবাদী, আপনি আরও ভালো পারফর্ম করবেন। শুরুটা এত সুন্দর হয়েছে, যা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং উৎসাহ জোগাবে।”</p>
<p>মনুর ব্রোঞ্জ জয়ের পর মেয়ের সাফল্য নিয়ে সংবাদ সংস্থা ANI-কে মা সুমেধা ভাকর বলেন, "টোকিও অলিম্পিক্সের পর মেয়ে এই অলিম্পিক্সের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করে। আমি এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছিলাম যাতে ও যথাযথ খাবার পায়। যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আমার মেয়ে এবং প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়া ভারতীয় অ্যাথলিটরা অনেক প্রচেষ্টা করেছেন। আমি প্রার্থনা করি, ওঁরা সকলে যেন হাসিখুশিতে বাড়ি ফেরেন। মনুর প্রথম বাড়ি শ্যুটিং রেঞ্জ। ও শুধু ঘুমাতে আসত বাড়িতে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করত।"</p>